নাজুক হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি, মৃত্যু বেড়ে ১৬৯


 

দেশজুড়ে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে শুক্রবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বন্যায় দেশের মোট ১৬০ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ওইসব অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি এখনও নাজুক।

এরমধ্যে কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও নেত্রকোনার মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জামালপুরে ২৯, টাঙ্গাইলে ২৮, কুড়িগ্রামে ২২, মানিকগঞ্জে ১৭, লালমনিরহাটে ১৫, গাইবান্ধায় ১৫, সিরাজগঞ্জে ১৪, ঢাকা ও নেত্রকোনায় ৫ জন করে, রংপুর, সুনামগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তিনজন করে, নীলফামারী, নওগাঁ ও কিশোরগঞ্জে দুজন করে এবং রাজবাড়ী ও শরীয়তপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বন্যার হাত থেকে জনজীবনকে রক্ষায় সরকার বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ১ হাজার ৫৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী বন্যার হটস্পটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ছাড়া উপকূলে বসবাসকারী বিশ্বের ২৫০ মিলিয়ন মানুষ অদূর ভবিষ্যতে বন্যার মুখোমুখি হবে।

ওই গবেষণায় বিশ্বজুড়ে ধারাবাহিক বন্যার বিভিন্ন ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব চীন, অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল, বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর জার্মানি।