দুর্বলতা কাটাতে গরুর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটাচ্ছেন অসাধুরা!


চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কিছু অসাধু ব্যাপারী গরুর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিঁটিয়ে পাঠাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। গরু পরিবহনের সময় অসুস্থতা বা দুর্বলতা কাটাতে এ কাজ করছেন তারা।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার হাটগুলোতে প্রতিদিন বেচা-কেনা হয় কয়েক হাজার গরু। ব্যাপারীরা এসব গরু কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও দেশের অন্য হাটগুলোতে গরু নিয়ে যাচ্ছেন। তবে পরিবহনের সময় এসব গরুর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ও গুল ছিঁটানো হচ্ছে। গরু পরিবহনের সময় অসুস্থ বা দুর্বল না হওয়ার জন্য মরিচের গুঁড়া ও গুল ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিবগঞ্জ উপজেলার তর্ত্তিপুর গরুর হাটে গরু কিনতে আসা ফেনীর ব্যাপারী সেরাজুল ইসলাম জানান, তিনি বর্তমান ঈদ মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন হাট হতে প্রায় তিন শতাধিক গরু কিনে ফেনীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠিয়েছেন। আর গরুগুলো পরিবহনে গুরুর চোখে, মুখে ও কানে ব্যবহার করা হয়েছে শুকনো মরিচের গুঁড়া ও গুল।

তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে গরু বহন করলে গাড়ির মধ্যে গরু শুয়ে পড়ে না, পুরো পথ দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া স্বাভাবিকভাবে গরু পরিবহন করলে ট্রাকের মধ্যে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে যায়। এ সময় অন্য গরুগুলো শুয়ে থাকা গরুর উপর উঠে তার ক্ষতি করতে পারে।

গরুর সঙ্গে যাওয়া শ্রমিক সেলিম রেজা জানান, ট্রাকে যখন গরু বোঝাই করা হয় তার পরেই ব্যবহার করা হয় মরিচের গুঁড়া ও গুল। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রতিটি গরুর চোখে, মুখে ও নাকে একাধিকবার মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান গরুর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া এবং গুল ব্যবহারের বিষয়টি অমানবিক জানিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

প্রজন্মনিউজ২৪/ফরিদ