আয়া সোফিয়াতেই থাকবে বিশ্বখ্যাত সেই বিড়াল


 

বিশ্ব বিখ্যাত জাদুঘর আয়া সোফিয়াকে দীর্ঘ প্রায় ৮৬ বছর পর মসজিদে রূপান্তর করেছে তুরস্ক। সম্প্রতি দেশটির প্রশাসনিক আদালতের এক রায়ের পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ ঘোষণা দেন। এরইমধ্যে গত শুক্রবার ৯ দশক পর আয়া সোফিয়ায় পবিত্র আজানের ধ্বনি শুনেছে মুসলিম জাহান। টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছে জুমার নামাজের দৃশ্য।

তবে বিশ্বখ্যাত এই মিউজিয়ামটিকে মসজিদে পরিণত করার পর থেকেই একটি শঙ্কা উঁকি মারছিল ইনস্টাগ্রাম বিখ্যাত ‘গ্লি’কে নিয়ে। সবুজ চোখ, ধুসর লোমাশ ও নাদুস-নুদুস চেহারার বিড়াল ‘গ্লি’ দীর্ঘদিন ধরে আয়া সোফিয়াতেই বাস করছে। কিন্তু জাদুঘরটি মসজিদে রুপান্তরিত হওয়ার পর বিড়ালটি সেখানে থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

তবে তুরস্ক সরকার সাফ জানিয়েছে, গ্লি’র বাসস্থান আয়া সোফিয়াতেই হতে। সেখানে সে থাকবে। আগের মতো তার খেয়াল রাখা হবে। তার যত্নের কোনও ত্রুটি হবে না।

এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, ‘বিড়ালটি যথাস্থানেই থাকবে। গ্লি খুব বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এমনকি সব বিড়ালকেই আমাদের মসজিদে স্বাগত।’

আয়া সোফিয়াতে ঢুকতেই প্রথমেই যেকোনও পর্যটকের চোখে পড়বে চতুষ্পদী এই বিড়ালটিকে। বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকদের সঙ্গে গ্লি’র অনেক ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
 
২০০৯ সালে ইস্তাম্বুলে আয়া সোফিয়া পরিদর্শন করতে এসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গ্লিকে প্রথম লক্ষ্য করেন। ওর সঙ্গে কয়েকটি ছবিও তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন। এর পর থেকেই দুনিয়াজোড়া খ্যাতি বাড়তে থাকে গ্লি’র।

প্রায় ১৫০০ বছর আগে ষষ্ঠ শতাব্দিতে নির্মিত স্থাপত্য আয়া সোফিয়া একটি অর্থোডক্স খ্রিষ্টান গির্জা ছিল। ১৫৫৩ সালে উসমানীয় শাসন আমলে গির্জাটিকে মসজিদে পরিণত করা হয়। তবে ১৯৩৪ খিষ্টাব্দে কামাল আতাতুর্কের আমলে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। তুরস্কের ইসলামপন্থি দলগুলোর দীর্ঘদিনের দাবিতে সমর্থন জানিয়ে মিউজিয়ামটিকে আবারও মসজিদে রুপান্তর করলো তুরস্ক সরকার।