চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পরমাণু কেন্দ্র গড়তে যাচ্ছে আমেরিকা


এ বার লক্ষ্য পৃথিবীর বাইরে৷ ভিনগ্রহে পরমাণু চুল্লি গড়ার তোড়জোড় শুরু করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই পরিকল্পনা মতো বেসরকারি সংস্থাদের থেকে আইডিয়া চাওয়া হয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র গড়তে৷

চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষেই ওই দুই জায়গায় পরমাণু শক্তি কেন্দ্র গড়তে চাইছে আমেরিকা৷ ইতিমধ্যেই মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার থেকে আইডিয়া চেয়েছে, কী ভাবে এটা করা যেতে পারে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে ফিসন সারফেস পাওয়ার সিস্টেম গড়তে, যাতে মানুষ দীর্ঘদিন সেখানে থেকে গবেষণা চালাতে পারে।

মার্কিন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ইদাহো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি, এনার্জি ডিপার্টমেন্ট ও নাসা মিলে কী ভাবে চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে৷ এমন রিঅ্যাক্টর তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে, যা ঠান্ডা করার জন্য জলের প্রয়োজন হবে না৷ পৃথিবীতে প্রায় সব পরমাণু চুল্লিই পানির দ্বারা ঠান্ডা করার সিস্টেমে তৈরি৷

পরিকল্পনাটি দুটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে৷ প্রথমে পরমাণু চুল্লিটির ডিজাইন৷ দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি টেস্ট রিঅ্যাক্টর বা চুল্লি তৈরি করা৷ দ্বিতীয় চুল্লিটি চাঁদে পাঠানো হবে মহাকাশযানে৷ মহাকাশযানটির ল্যান্ডার ওই পরমাণু চুল্লিটি চাঁদে গিয়ে স্থাপন করে আসবে৷

মূলত, ২০২৬ সালের মধ্যে আমেরিকার লক্ষ্য, একটি পরমাণু চুল্লি, মহাকাশ যান ও ল্যান্ডার চাঁদে পৌঁছে দেওয়া৷ অন্তত ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন করতে পারবে, এমন রিঅ্যাক্টর তৈরি করা দরকার৷ মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় পরিবারপিছু গড়ে প্রতিবছর ১১ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুত্‍ খরচ হয়৷