মিশা-জায়েদের পদত্যাগের পরই আলোচনা, শিল্পী সমিতি


গত সপ্তাহে চলচ্চিত্র বিএফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে চলচ্চিত্রের ‘স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডর অভিযোগে অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বয়কটের ঘোষণা দেয় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। এরপর গেল ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে সমঝোতার কথা বলেন বক্তারা।

বুধবার (২২ জুলাই) বিকেল ১৮ সংগঠনের সভা শেষে জানিয়েছে শিল্পী সমিতি থেকে তাদের দুজনের পদত্যাগের পরই আলোচনা হবে, তার আগে নয়।

চলচ্চিত্রের উন্নয়ননীতির বিরুদ্ধে শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ এনে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন তাদের বয়কটের ঘোষণা দেয়। বুধবার সভা শেষে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘মিশা-জায়েদের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণও আমাদের কাছে। শিল্পীদের বিভিন্ন মতভেদ তৈরিতে সে প্রতিনিয়ত শিল্পীদের ম্যাসেজ প্রদান করে। এছাড়াও ২০১৯ সালে চলচ্চিত্র দিবসে যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে তারও অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিষয়ে বারবার চিটি দিলেও সে কোনও উত্তর দেয়নি।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছি তা লিখিত আকারে হিসাব দিয়েছে। ওই ৬ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এমনতো নয় আমি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাছে হিসাব দেয়নি। টাকা নিয়ে ধরলে তাদের ধরার কথা, কোনও সমিতি তো আমাকে বলার কথা না। আর পদত্যাগের বিষয় যদি বলি তাহলে সেটা আমার শিল্পীরা পদত্যাগ চাইতে পারে।’

১৮ সংগঠনের পদত্যাগ দাবির প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বুধবার সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সোহানুর রহমান সোহান, ফিল্ম ক্লাবের নেতা ওমর সানি ও ১৮ দলের সমন্বয়ক বিপ্লব শরীফ প্রমুখ।

প্রজন্মনিউজ২৪/জহুরুল