একাধিক নারীর সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ সারওয়ার্দীর

প্রকাশিত: ২০ জুলাই, ২০২০ ০২:২৬:৪৬

একাধিক নারীর সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ সারওয়ার্দীর

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সব সেনানিবাস এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে গতকাল রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

রবিবার (১৯ জুলাই) রাতে আইএসপিআর-এর পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও মিথ্যাচারের বিষয়টিও উঠে এসেছে।  

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিএ-২০০৪ লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বীর বিক্রম, এনডিসি, পিএসসি, পিএনজি (অবসরপ্রাপ্ত) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।  

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সাথে বিদেশে ভ্রমণকালেও অনেক মেয়েকে নিয়ে চলাফেরা করেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি গোচরীভূত হলে কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি এলপিআর-এ থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে প্রথম স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন এবং সেনা আইন বহির্ভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোষাক) পরে ২১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এক নারীকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। কিন্তু তিনি বিবাহের পূর্বে ওই নারীকে নিয়ে ৩ নভেম্বর ২০১৮ থেকে একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন।

এমনকি তিনি বিবাহের পূর্বে তাকে সাথে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন, সাজেক রিসোর্ট, খাগড়াছড়িতে অবকাশ যাপন, বিভিন্ন সময় ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ ও অবস্থান করেন। যার সচিত্র আলামত সামরিক ও অসামরিক পরিমন্ডলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এ ছাড়া তিনি যাকে বিয়ে করেন তিনি একজন বিতর্কিত নারী হিসেবে পরিচিত বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী (অবসরপ্রাপ্ত)-এর এ ধরণের আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। এ ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবির মধ্যে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে ও বিরুপ প্রভাব ফেলে।

সামগ্রিক বিবেচনায় গত ১০ এপ্রিল এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: ব্রেকিংনিউজ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ