প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০২০ ১১:৩৮:৫৪
বাংলাদেশে দুর্নীতি শিকড় কত গভীরে নিমজ্জিত তা কল্পনার বাহিরে।এই দুর্নীতি বলতে আমি আর্থিক দুর্নীতির কথাই সর্বাগ্রে বলবো!কারণ এ ছাড়া অন্য ধরণের দুর্নীতিগুলো আর্থিক দুর্নীতিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়।
এ দেশের ভুক্তভোগী জনগন ধরেই নিয়েছে তাকে কোন সেবা পেতে হলে সেবা দাতাকে কিছু দেয়া স্বাভাবিক ব্যাপার মাত্র!না হলে বিনা পয়সায় সরকারি ভাবে করোনা টেস্ট করার কথা থাকলেও কিভাবে কোটি কোটি টাকা প্রতারকদের দিল এদেশের জনগণ!দুর্নীতি যে আমাদের সমাজে প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে সে কথা আর অস্বীকার করার কী কোন উপায় আছে?
দুর্নীতিকে দমন করার উৎসাহ- উদ্দীপনা এই সমাজে না থাকলেও দুর্নীতে উৎসাহ- উদ্দীপনার কমতি নেই এদেশে!কথাটি অনেকের কাছে অসুন্দর লাগলেও এটাই বাস্তবতা।এখানে অনৈতিকভাবে টাকা কামাইকে খারাপ চোখে কেউ দেখে না।ত্রিশ হাজার মাইনে পাওয়া কর্মচারীর মেয়ের হাত খরছ এক লক্ষ টাকা সে তো অনেক পুরাতন কথা।কিংবা সামান্য অফিস সহকারীর ঢাকা শহরে আলীসান বাড়ি সেটা তো স্বাভাবিকই!
একটা ছদ্মবেশী আলখাল্লার আবরণে আছি আমরা। তবে এই মুখ আর মুখোশের আলখাল্লা মাঝে মাঝে ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে যায়। তখন বুঝা যায় কত কুতসিত আমাদের চেহারা।
মুল কথায় আসি। এই সমাজে সবাই আমরা বাহবা পেতে চাই, কেউ তিরস্কার নিতে চাই না।মুখোশ উন্মোচন হলে তো নয়ই।ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পাহাড় গড়ে তোলা এক দুর্নীতিবাজ, প্রতারক সাহেদ ধরা পরেছে।একে একে বেরিয়ে আসছে তার কুকীর্তির খতিয়ান।বেড়িছে আসতেছে শুরু করছে কার আশ্রয় প্রশ্রয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্ছ গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছিল তার সখ্যতা। ঠিক সেই মুহুর্তে দেখা গেল তার দায় নিচ্ছে না কেউ!গনমাধ্যম এবং বিভিন্ন সুত্র থেকে যত টুকু জানা যায় সাহেদ ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। সেই পরিচয়েই সাহেদ শুধু রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তি নন বিদেশী ভিভিআইপিদের সাথেও ছিল তার উঠাবসা।অথচ ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ তার দায় নিচ্ছে না!
আওয়ামী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়োয়া একটা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘‘সাহেদ আওয়ামী লীগের কেউ নন।’’ সাবেক একজন কুটনৈতিক এর নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক উপ কমিটির সদস্য সাহেদ ! এই প্রশ্নের জবাবে মি. বিপ্লব জানান, ‘‘গেল ডিসেম্ভরের পর নাকি আওয়ামী লীগ কোন কমিটিই অনুমোদন দেয়নি ’’ চিন্তা করুন, একটা দলের গুরুত্বপূর্ণ একটা কমিটি হয় আর এর দপ্তর সম্পাদক জানে না তা কী বিশ্বাস যোগ্য?
দূর্নীতিবাজ সাহেদ কিভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে চুক্তি করলো সেই দায়িত্বও নিচ্ছে না কেউ। মন্ত্রীর আঙুল ডিজির দিকে আর ডিজির আঙুল মন্ত্রীর দিকে! কেউ যদি দায়িত্ব না নেয় তাহলে উনারা এই পোস্ট গুলো দখল করে আছেন কেন?সাহেদের প্রতারণা এখন জনসম্মুখে আসছে তা কিন্তু নয়।খবরে প্রকাশ ২০১৬ সালে পুলিশের আইজিপি বরাবর সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি আর অপকর্মের অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু আইজিপি কোন ব্যবস্থা নেন নি!তখনকার আইজিপি ছিলেন শহিদুল হক।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তখনকার আইজিপি বলেন, ‘‘ সব অভিযোগ আইজিপি’র দৃষ্টিগোচর হয় না।’’
এই দায় এড়ানোর সংস্কৃতি আজকের নয়।আমাদের কপালটাই এমন যে, যখন যে বিষয়টাতে ধরা হয় দেখা যায় যে সেটা অবৈধভাবে লালিত পালিত।যে রিজেন্ট হসপিটালে বিনা টেস্ট এ করোনার সার্টিফিকেট দিল, টাকার বিনিময়ে পজেটিভকে নেগেটিভ আর নেগেটিভকে পজেটিভ দিল সেই হসপিটালের লাইসেন্সই নাই!ধরুন, কোন একটা গাড়ি দূর্ঘটনায় পতিত হলো , তাহলে দেখবেন গাড়ির রোড পারমিট নাই , গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স নাই!একটা লঞ্চ দূর্ঘটনা ঘটলো দেখা যায় লঞ্চের ফিটনেস নাই। রানা প্লাজা ধসে পড়লো, দেখা যায় বিল্ডিং এর অনুমোদন নাই।ইউনাইটেড হসপিটালে আগুন লাগলো দেখা যায় সেই হসপিটালের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই অকেজো......!
শুধু নাই আর নাই! কিন্ত এই অসংগতি আর দুর্নীতির দায় নিবে কে? সেটাই আজ বড় প্রশ্ন।যে সরকার সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে তাকেও যদি কাটগড়ায় দাড় করানো হয় তাহলে দেখবেন সেই সরকারেরই জনগণের ম্যান্ডেট নাই!
তাই দায় নেয়ার কেউ নাই।এর দায় সম্পূর্ণ জনগনের ।যতক্ষণ না জনগন এই অন্যায় আর অসংগতির বিরুদ্ধে না দাড়াবে ততক্ষণ তারা এই দায় এড়াতে পারবে না!
মামুন আব্দুল্লাহ, বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা
ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল
ধুনটে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টা
চোরের হামলায় স্বামী- স্ত্রী আহত, মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি আসামী!
রাজবাড়ীতে ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত
তুরস্কে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
খুবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: কাদের
প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক