প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২০ ০৪:২২:১৮
আহ! সাকিব কি খেলাটাই না খেলেছেন, কী দারুণ ব্যাটিং করেছেন! এখনও অনেকের মুখে শোনা যায় এমন সংলাপ। সত্যিই গতবছর যুক্তরাজ্যে হওয়া বিশ্বকাপে সাকিব অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছেন। অসাধারণ বলা হয়তো কম হয়ে যাবে। যত বিশেষণই দেয়া হোক না কেন, তা কম হয়ে যাবে।
একজন ব্যাটসম্যানের পক্ষে বিশ্বকাপের মত ক্রিকেটের বৃহৎ মঞ্চে যত ভাল খেলা সম্ভব, সাকিব তাই খেলেছেন। আট ইনিংসে একবার নটআউট থেকে ২টি সেঞ্চুরি, ৫টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৬০৬ রান করেছেন সাকিব, গড় ৮৬.৫৭ ও স্ট্রাইক রেট ৯৬.০৩; রীতিমতো অবিশ্বাস্য। সাথে আছে ১১টি উইকেট।
সব মিলে দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরমেন্স। একটা দলকে টেনে তোলার জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, সাকিবের অমন নৈপুন্য মাঠে আলো ছড়িয়েছে। কিন্তু দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান ছাড়া আর কারও সঙ্গে জেতেনি বাংলাদেশ।
ঐ তিন ম্যাচেরও জয়ের নায়ক, স্বার্থক রুপকার সাকিব। বাকিরা কেউ সেভাবে সাপোর্ট দিতে না পারায় শেষপর্যন্ত সাকিবের অতি মানবীয় পারফরমেন্সের পরও বাংলাদেশ আগের ধারার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। বিশ্বকাপ শেষ করতে হয়েছে ৮ নম্বরে থেকে।
সাকিব একা অনেকদূর এগিয়ে দিলেও অন্যরা সে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে না পারায় ব্যর্থতাই হয়েছে সঙ্গী। এজন্য মন খারাপ হয়েছে প্রতিটি বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থকের। ক্রিকেটারদের কতটা খারাপ লেগেছে? বৃহস্পতিবার রাতে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন সে দলের সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
প্রশ্ন ছিল টিমমেট হিসেবে খারাপ লেগেছে কি না? মোসাদ্দেক সৈকতের ব্যাখ্যা, ‘অবশ্যই খারাপ লেগেছে। সাকিব ভাই ছাড়াও আমাদের টপ সিক্সে যারা ছিলেন, তাদের প্রায় সবার সামনেই সুযোগ ছিল বড় কিছু করার। সাকিব ভাইয়ের মত সাড়া ফেলার সুযোগ ছিল।’
মোসাদ্দেকের বিশ্বাস ও উপলব্ধি, ‘সাকিব ভাই যেমন খেলেছেন, দারুণ পারফরম করেছেন, তার জায়গায় মুশফিক ভাই ও তামিম ভাইও হয়তো করতে পারতেন। সাকিব ভাই পেরেছেন। কারণ তিনি খুব ধারাবাহিক ছিলেন, তার লাকটাও ফেবার করেছে।’
এ স্পিনিং অলরাউন্ডার অকপটে স্বীকার করেছেন, দলের বাকি সদস্যরা সাকিবকে সাপোর্ট দিতে পারেননি। তার পাশে সহায়ক শক্তি হয়ে দেখা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, ‘আসলে আমি মনে করি দল হিসেবে আমরা সাকিব ভাইকে সাপোর্ট দিতে পারিনি। যারা একাদশে ছিলেন, খেলেছেন তারা তো বটেই, এমনকি যারা খেলেননি তারাও না। হয়তো তাদেরও সাকিব ভাইকে সাপোর্ট করা উচিৎ ছিল। দলের অপর সদস্যদের কাজই ছিল তাকে সহায়তা করা। সেটা মুশফিক ভাই-তামিম ভাইও হতে পারতেন। তারাও যদি সাকিব ভাইয়ের ভূমিকায় থাকতেন, তাহলে বাকিদের কাজ ছিল তাকে ব্যাকআপ করা। কিন্তু সত্যি বলতে, আমরা সেটা করতে পারিনি।’
সাকিবের প্রতি সহানুভুতির সুরে মোসাদ্দেক শেষ করেন এভাবে, ‘সাকিব ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগে এই ভেবে যে, তার নজরকাড়া পারফরমেন্স আমাদের যথাযথ সহায়তার অভাবে সেভাবে কাজে লাগেনি। আমার মনে হয় সবাই আরও ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারলে সাকিব ভাইয়ের ফিলিংসটাও অন্যরকম হতো। তারও অনেক বেশি ভাল লাগত।’
প্রজন্মনিউজ২৪/ফরিদ
অনুমতি ব্যতীত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অভিযোগে বশেমুরবিপ্রবি প্রকল্প পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম
গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, এ আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো : মির্জা ফখরুল
তালাকের হার গ্রামে বেশি, বড় কারণ পরকীয়া
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
উচ্চমূল্যের মুঠোফোন প্যাকেজ গ্রাহকদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে