সুন্দরগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দী ১০ হাজার ৮৩০টি পরিবার


মোঃ রাফিউল হুদা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। গত কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় দফায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তিস্তা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় ও  কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আর এতে করেই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া, তারাপুর,হরিপুর,শান্তিরাম ও বেলকা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। কারণ উক্ত ইউনিয়নগুলোর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা নদী।আবার কিছু কিছু মানুষ বন্যা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছে উঁচু স্হানে, স্হানীয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ও স্হানীয় উঁচু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার ৮৩০ পরিবারের ৪৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্হায় রয়েছে। এর মধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে ৪০০, বেলকায় ২ হাজার, হরিপুরে ৩ হাজার ৫০০, কঞ্চিবাড়ীতে ৪০০, শ্রীপুরে ৩৫০, চন্ডিপুরে ৪৭০ ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬৩০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। তবে সরকারি হিসাবের চেয়ে প্রকৃত পানিবন্দির মানুষের সংখ্যা আরো বেশি।

এমনকি সেই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বসত-বাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি। আর এমন পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে শুকনো খাবারের সংকট,পয়ঃনিস্কাশনের সমস্যা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। শুধু তাই নয় পানিতে বসত- বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করতে না পেরে  অনেকেই দিনাতিপাত করছেন অনাহারে-অর্ধাহারে।এতে করে কষ্টে আছেন মানুষ।

বন্যায় পানিবন্দী মহিষবান্দীর চরের বাসিন্দা মোঃ আইয়ুব আলীর কাছে জানতে চাওয়া হয়,কেমন আছেন পানিবন্দী অবস্হায়?? তিনি জানান, খুব কষ্টে আছি এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি।  শুধু তাই নয় ইউনিয়নের মেম্বার, চেয়াম্যানরাও কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। এমনকি প্রতিবছর বন্যায় ডাকাতির আশঙ্কা বেড়ে যায় ফলে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ডাকাতদের ভয়ে রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসীরা।
 
ত্রাণের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানায়, পানিবন্দী মানুষদের জন্য ২৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১০ মেট্রিকটন চাউল ও নগদ ৫০ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

প্রজন্মনিউজ/নুর/রাফিউল হুদা