ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে কঁচা ও বলেশ্বরের নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা


হাসিব বিল্লাহ, ইন্দুরকানী প্রতিনিধি: কঁচা ও বলেশ্বরের অব্যাহত ভাঙ্গনে পাল্টে যাচ্ছে উপকূলীয় জনপদ পিরোজপুরের ইন্দুরকানী মানচিত্র। যুগ যুগ ধরে এ দুটি নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার একর ফসলি জমি এবং শতশত বাড়িঘর  নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদী তীরবর্তি বিভিন্ন রাস্তাঘাট, হাটবাজার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বসতবাড়ি ভাঙ্গনের কবলে পতিত হওয়ায় শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রতি বর্ষা মৌসুমে এ দুটি নদী রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় নদী তীরবর্তি এলাকায় বসবাসরত ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। দিনদিন ভাঙ্গনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।

উপজেলার পূর্বচরবলেশ্বর, পূর্ব চন্ডিপর, কলারন, খোলপটুয়ার একাংশ,কালাইয়া, ঢেবসাবুনিয়ার কিছু অংশ, সাঈদখালি বাজার, চাড়াখালি গুচ্ছগ্রাম গ্রাম, লাহুরী, গাজীপুর ও টগড়া ফেরিঘাট এলাকায় বর্তমানে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বলেশ্বর ও কঁচা নদীর প্রবল স্রোতের কারণ চরম হুমকির মুখে পড়েছে টগড়া গ্রাম থেকে ফেরিঘাট ও উমেদপুর গ্রাম। বাঁধ না থাকায় টানা বর্ষণ কিংবা পূর্ণিমার জো’তে নদী তীরবর্তি ফসলি জমি তলিয়ে যায়। তাই প্রকৃতির সংগে যুদ্ধ করে বেচে থাকা এ উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী নদী তীরবর্তি ঝুকিপূর্ন এলাকাগুলোতে অচিরেই নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন এবং টেকসই বাধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

টগড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আ. রাজ্জাক জানান, এলাকায় যেমনি বেড়িবাঁধ নাই তেমনি কচাঁ নদীর ভাঙ্গনে বাড়ি-ঘরসহ শত শত একর জামি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় পাইলিং ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, নদীর ভাঙ্গন রোধ ও বেড়ী বাধ নির্মানের জন্য অচিরেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে।

 

প্রজন্মনিউজ২৪/ফরিদ