জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার মৃত্যু


জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হক (৬৯) মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের নর্থ ইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এম এ হক সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতাসীন থাকাকালে এম এ হক ২০০৩ সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে এম এ হকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত মঙ্গলবার এম এ হককে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এখনো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

 

এম এ হক সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওনাবাজার ইউনিয়নের কলুমা এলাকায়। পরিবারের বরাত দিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকপীরের টিলা সংলগ্ন এলাকায় এম এ হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজারে রাত আটটায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

সিটি মেয়রের শোক
এম এ হকের মৃত্যুতে বিএনপিসহ সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

এক শোকবার্তায় মেয়র বলেন, প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গন অপূরণীয় এক ক্ষতি হলো। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ