পদ্মার ভাঙনে ঠাঁই হারিয়ে বাঁচার চেষ্টায় চরাঞ্চলবাসী

প্রকাশিত: ০৩ জুলাই, ২০২০ ০৪:৫১:৩০

পদ্মার ভাঙনে ঠাঁই হারিয়ে বাঁচার চেষ্টায় চরাঞ্চলবাসী

পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলে ব্যাপক নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভয়াবহ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। নদীভাঙনে সব হারিয়ে দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে শেষ সম্বল আর পরিবার নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন অন্যের জায়গায়। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের বন্দরখোলা, চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ীতে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙনে গত কয়েকদিন আগে বিলীন হয়েছে একটি মসজিদ। বিলীন হয়েছে অস্থায়ী বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার। পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদ্যুতের খুঁটিসহ অসংখ্য ফসলি জমি।

এছাড়াও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলার নুরুদ্দিন মাদবর কান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩তলা ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একটি বাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। নদীর ভয়াবহ ভাঙনে দিশেহারা ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। ভাঙনের তীব্রতায় মানুষ প্রয়োজনীয় মালামাল ও কোনো রকমে পরিবার নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্যের ভিটায়।

বন্দরখোলা খোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম বেপারী জানান, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরও জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। এ বছরের বর্ষার শুরু থেকেই চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে ভাঙন কবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে। ভাঙন কবলিতদের মধ্যে করোনার কারণে ইতোমধ্যে অনেক ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা ও ত্রাণ সহায়তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/ফরিদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ