পদ্মা রেল প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি, দুজন কারাগারে

প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২০ ০৭:৪১:৫০

পদ্মা রেল প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি, দুজন কারাগারে

পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের ঠিকাদার এরশাদ গ্রুপের ঢাকার অফিসে চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার মাকসুদ বাবুল মোল্লা (৪৫) ও আবু তালেব লালু (৩১) নামে দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। অস্ত্র এবং চাঁদাবাজির পৃথক মামলায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।

আজ বুধবার আসামিদের আদালতে হাজির করে কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নাসির ট্রেড সেন্টারের এরশাদ গ্রুপের অফিসে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের নামে অস্ত্র এবং চাঁদাবাজির মামলা হয়।

 

এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে পাথর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় এখন আমরা রেল প্রকল্পেরও কাজ পেয়েছি। গত ২ জুন কুতুবদিয়াতে বড় জাহাজে পাথর আনা হয়। সেখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে প্রকল্প এলাকাতে পাথর নেওয়া হচ্ছে। তবে ২১টি লাইটার জাহাজ প্রকল্প এলাকা শরীয়তপুর জাজিরা পয়েন্টে নদীতে প্রায় ২১ দিন ধরে ভাসমান অবস্থায় আছে। প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার নেপথ্যে থেকে এই পাথর নামাতে দিচ্ছেন না। পাথর নামাতে গেলে কিছু লোকজন বাধা দিয়ে বলছে, পাথর নামাতে হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনায় ৯ জুন জিডিও করেছি। এরপরও ফোনে চাঁদা দাবি করায় আমি বলি, অফিসে আসেন, টাকা দিয়ে দেব। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শর্টগানসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক ৮৯ বীর উত্তম সোনারগাঁ রোডের নাসির সেন্টারের তৃতীয় তলায় আমাদের অফিসে আসে। এ সময় আমি অফিসে ছিলাম না। তারা অফিসে এসে আমাকে না পেয়ে অস্ত্র বের করে সবাইকে ভয় দেখায়। আমার একজন অফিসার কলাবাগান থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে অস্ত্রসহ হাতে নাতে মাকসুদ ও তালেব নামের দুইজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।’

প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ