আরও ৩৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৩,৪৮০

প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২০ ০৬:৩৯:২০

আরও ৩৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৩,৪৮০

করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৮০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫০২ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন।

আজ সোমবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৩ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। এঁদের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫০২ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের চারজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাসায় ১২ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৭৮ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন। 

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৭টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৪৮০ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ছয় লাখ ২৭ হাজার ৭১৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলে এই তথ্য এসেছে বলে জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ের শুরুতেই জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এর কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। তখন সারা দেশে মোট ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৩টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬২টি ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে। 

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬১৮ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ২০ হাজার ৪৩২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন সাত হাজার ৯৬৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৪৬৭ জন।

জানানো হয়, রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে নির্মিত বসুন্ধরার করোনা হাসপাতালে দুই হাজার আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রয়েছে এবং রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৬৬৩ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৯৭২ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৩৫০ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৮৯৬ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

ডা. নাসিমা জানান, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে করোনা আক্রান্তদের ভর্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এ কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের ভর্তির বিষয়টি চলমান। 

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর'র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৫২টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৫ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো পাঁচজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৮৮ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে। 

প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন