সালমান খানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৯ জুন, ২০২০ ০৭:৫১:৪০

সালমান খানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

আমির খান অভিনীত ‘থ্রি ইডিয়ট’ ছবিটা নিশ্চয় অনেকের দেখা। ছবিতে জয় লোবোর আত্মহত্যাকে র‌্যাঞ্চো খুন বলে দাবি করেছিলেন। সদ্য সুশান্তের ক্ষেত্রেও এমন দাবি উঠেছে। তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বলিউডের শীর্ষ তারকাদের। বিশেষ করে সালমানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। পাটনায় সুশান্তের জন্মস্থানে সালমান খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিষয়টি আরও এগিয়েছে, রীতিমতো সালমান খানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে স্লোগান উঠেছে, ‘সালমান মুর্দাবাদ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ভিডিও প্রকাশ হয়েছে দুপুরে।

গত রোববার বান্দ্রার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী বলিউডের তরুণ নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। প্রাণখোলা, হাসিখুশি এই নায়কের মৃত্যু ঘিরে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। সুশান্তের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের সন্তানকে। এসব সূত্রে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে জেরা করা হয়েছে।

 

এর আগে সুশান্তের শহর পাটনায় সালমান খানের বিইং হিউম্যান স্টোরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন একদল তরুণ। আজ সেই বিক্ষোভের আবেগ পৌঁছে গেল সালমান খানের বাড়ির সামনে। এ ঘটনার একটি ভিডিও দেখা গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সালমানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে তাঁর বিইং হিউম্যান স্টোর বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে ‘সালমান খান মুর্দাবাদ’ স্লোগানও শোনা গেছে।

শুধু সাধারণ মানুষ বা সুশান্তের ভক্ত–অনুরাগী নন, বলিউডের অনেকে এ ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন। সুশান্তের এই মর্মান্তিক পরিণামের জন্য বলিউডকে দায়ী করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। এ জন্য তিনি বলিউডের ‘স্বজনপোষণ’ নীতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। কঙ্গনার দাবি, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। বলিউডের কিছু মানুষের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনেকেই।

বুধবার বিহারের মুজফফরপুরের একটি আদালতে এ ঘটনায় মামলা করেছেন অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার ওঝা। মামলায় আসামি করা হয়েছে সালমান খান, করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বানসালি, আদিত্য চোপড়া, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা, একতা কাপুরসহ আটজনকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ১০৯, ৫০৪ ও ৫০৬ ধারায় করা মামলার অভিযোগপত্রে ওঝা বলেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতকে প্রায় সাতটি ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর কিছু ছবির রিলিজও আটকে দেওয়া হয়েছিল। এতে অভিনেতার যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যার শিকার হয়ে তিনি এ মর্মান্তিক পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমও আগে দাবি করেছিলেন, গত ছয় মাসে সুশান্তের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সাতটি ছবির অফার। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘ছয় মাসে সাতটা ছবি হাতছাড়া হয়ে গেল! কিন্তু কেন? এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নির্মমতার কোনো সীমা নেই। আর এই নির্মম আচরণই এক প্রতিভাবান অভিনেতার প্রাণ কেড়ে নিল।’ এদিকে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে পেশাদারি শত্রুতার কোনো কারসাজি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।

প্রজন্মনিউজ২৪/মারুফ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ