আইসিএল কাণ্ডে আমি নাটের গুরু নই

প্রকাশিত: ১৮ জুন, ২০২০ ১২:২৬:০০

আইসিএল কাণ্ডে আমি নাটের গুরু নই

তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানরা কৃতিত্ব, অর্জন আর প্রাপ্তিতে সবাইকে ছাড়িয়ে। এ তিনজনই এখন বিশ্বমানের ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের তুলনায় হয়তো সাফল্য ও ব্যক্তিগত অর্জন তুলনামূলক কম, তারপরও ন্যাচারাল ট্যালেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে পিছিয়ে রাখার উপায় নেই।

অনেকের চোখে ব্যাটিং প্রতিভা হিসেবে বাংলাদেশে আশরাফুলই সবার ওপরে, সবসময়ের সেরা। কিন্তু ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে অমন আলোকিত ক্যারিয়ারে কালো দাগ এঁটেছেন আশরাফুল নিজেই। তার ফিক্সিয়ে জড়িত থাকা এবং কঠিন শাস্তি ভোগ করার ঘটনা ওপেন সিক্রেট।

তবে তার বিপক্ষে আরও একটি বড় অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ তাকে ভারতের আইসিএলে বাংলাদেশের যে বিদ্রোহী দল অংশ নিয়েছিল, সেই দল গড়ার মূল নায়ক বলেও মনে করেন। এমনও শোনা যায়, আইসিএলে বাংলাদেশের যে দলটি অংশ নিয়েছিল, মোহাম্মদ আশরাফুলই ছিলেন সেই দলের নাটের গুরু।

কেউ কেউ অভিযোগ করেন আশরাফুলই দল সাজিয়ে দিয়েছিলেন। শাহরিয়ার নাফীস, অলক কাপালি, আফতাব আহমেদ প্রমুখ ক্রিকেটারকে আইসিএল খেলতে তিনিই প্রলুব্ধ করেছিলেন। তার অনুপ্রেরণায়ই তখনকার অনেকে আইসিএল খেলতে উৎসাহী হয়েছিলেন। পাশাপাশি কারও কারও মত, আশরাফুলই দল সাজিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দল গুছিয়ে নিজে যাননি, কৌশলে সটকে পড়েছিলেন।

ঢালাও না হলেও এমন অভিযোগ আছে। ক্রিকেট পাড়ায় এটা বিশ্বাস করার মত মানুষও আছে। এ অভিযোগ কতটা সত্য? সত্যিই কি আশরাফুল ছিলেন নাটের গুরু? তিনিই উদ্যমী হয়ে আইসিএলের দল সাজানোর কাজটি করে নিজে শেষপর্যন্ত যোগ দেননি?- এ অভিযোগের সত্যতা আসলে কতটা?

অনেকদিন পরে হলেও সে আলোচিত ও কৌতূহলি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আশরাফুল। ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ তাকে ইউটিউব লাইভে প্রশ্ন করেন, আপনার বিপক্ষে আইসিএল বিষয়ক যে অভিযোগ শোনা যায়, সেটা আসলে কতটা সত্য? নাকি মিথ্যে?

আশরাফুলের জবাব, ‘আমি পুরো দল গুছিয়ে দিয়েছি এমন অভিযোগ সঠিক নয়। ঐ দলে অনেক ক্রিকেটারই যোগ দিয়েছিলেন যাদের সঙ্গে আমার কোন কথাই হয়নি। আবার অনেকে খেলেছেন যাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আসলে প্রস্তাবটা আমার কাছেই এসেছিল। কারণ আমিই তখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলাম। ব্যাপারটা এমন ছিল যে, আমি যদি যাই তাহলে বাংলাদেশের একটি দল আইসিএল খেলতে যাবে।’

‘আমার কাছে যখন প্রস্তাব আসে তখন আমি সবাইকে বলেছি, তোমরা কি আইসিএল খেলতে যেতে চাও কি না? অনেকে বলেছে হ্যাঁ, আবার অনেকে বলেছে না। প্রশ্ন ছিল, আমি যদি যাই তাহলে টিম হবে। কিন্তু তখনকার বোর্ডে জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট অনেককেই জানিয়ে দেই। লিপু (গাজী আশরাফ হোসেন লিপু) ভাইকে বলেছি। তখনকার কোচ জেমি সিডন্সকেও জানিয়েছি যে, আমার কাছে অমন এক প্রস্তাব এসেছে। মাশরাফিকেও বলা হয়েছে, দোস্ত তুই যাবি? ও সোজা বলে দেয় নাহ! আমি যাব না।’

প্রজন্মনিউজ/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ