বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে বিদেশী ফল

প্রকাশিত: ০৭ জুন, ২০২০ ০১:৩৬:১৪

বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে বিদেশী ফল

ক্ষরতাপময় বরেন্দ্র অঞ্চল। বরেন্দ্র অঞ্চলের শষ্যভান্ডার খ্যাত তানোর উপজেলা। ধান এখানে প্রধান ফসল হলেও এই তপ্ত মাটিতে এখন দেখা মিলছে বিদেশী ফলগাছ। বিদেশী ফলগাছ গুলো দেখা গেছে ড. সুবোধ কুমার সরকারের বাগানবাড়িতে।

তিনি নোয়াখালি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি একের পর এক বনজ, ঔষধি ও ফলজ গাছ রোপণ করে চলেছেন নিজ বাগানবাড়িতে।

তানোর পৌর এলকার আকচা গ্রামে সুবোধ সরকারের তিন বিঘার বাগানবাড়ি। বাগান আর বাড়ির ছাদজুড়ে দেশি ফল-ফুলের পাশে শোভাবর্ধন করে আছে নানান সব বিদেশী ফল।

গাছজুড়ে শোভা পাচ্ছে- জাপানের পিচফল, ব্রাজিলের চেরী, থাইল্যান্ডের পালামার আম, দারজিলিং লাল কলমা, তুরস্কের খেজুর, অ্যাভোগ্রেডো, নাসপাতি,আঙ্গুরসহ নানান ফল।

শুধু বিদেশি নয়, বাগানজুড়ে দেশীফল গাছও ছড়িয়ে আছে। রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মালটা, জামরুল, লিচু, পেঁয়ারা ও তিন প্রজাতির জাম। রয়েছে মসলা জাতীয় গাছ- লং, দারুচিনি, তেজপাড়া, এলাচ। এছাড়া ঔষধি গাছ- শ্বেত চন্দন, রক্ত চন্দন, হরতকি, বহেড়া, তুলশীসহ বিভিন্ন গাছ।

ড. সুবোধ কুমার জানান, তিনি বছর তিনেক আগে ঢাকা থেকে পিচফলের গাছ এনে লাগান। গত বছর অল্প সংখ্যক ধরলেও এবার গাছ জুড়ে পিচফল ধরেছে। অনেকগুলো গাছে পেকেছে। এটা অনেকটা আপেলের মতো। কিন্তু আপেলের চেয়ে নরম, মিষ্টি ও রসালো। স্বাদ আর গন্ধও দারুণ। ব্রাজিলের চেরি, থাইল্যান্ডের পালমার আম, দারজিলিং কমলা এবার বেশ ধরেছে তার গাছে।

তিনি আরো জানান, বরেন্দ্র মাটিতে বিদেশী ফল হওয়া সম্ভব। এতে বিদেশ থেকে ফল আমদানী করতে হবে না। তার এইসব বিদেশী ফলগাছ দেখতে অনেকেই বাগানে আসছেন। অনেকে উৎসাহিত হচ্ছেন বিদেশী ফল গাছ লাগানোর জন্য।

এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামিমুল ইসলাম বলেন, বরেন্দ্রে মাটিতে পিচ ফল হওয়া সম্ভব। তবে অন্যান্য বিদেশীফল যদি এইমাটিতে ভালো হয় তাহলে এলাকায় সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দীন বলেন, পিচফল রাজশাহীতে কম আছে। তেমন দেখা যায় না। তাদের গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলের গাছ নেই।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ