এদিকে বাসের ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা না মানলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরো কঠোর নজরদারি বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বেশির ভাগ বাসে অর্ধেক যাত্রী নিতে দেখা গেছে। বাসে ওঠার সময় স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করতে দেখা গেছে কিছু ক্ষেত্রে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে অতিরিক্ত ভিড় যাতে না হয়, সে ব্যাপারে অধিকাংশ যাত্রী ও বাসের মালিকদের আগের চেয়ে সচেতন হতে দেখা গেছে। তবে পুরোপুরি মেনে চলতে দেখা যায়নি। কিছু কিছু বাসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মও মানা হয়নি। যাত্রীদের ওঠানো ও নামানোর সময়ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসগুলোতেও দেখা গেছে ভয়াবহ চিত্র। অধিকাংশ বাসে পাশাপাশি দুই আসনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এসব দেখভালের জন্য নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইলকোর্ট পরিচালনাসহ তদারকির কথা বলা হলেও তা দেখা যাচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেও জীবাণুনাশক ছিটানোর উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট ও এয়ারপোর্ট সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহনে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে যাত্রী তোলার কথা থাকলেও সেটা প্রথম দিন থেকেই মানছে না কোনো গণপরিবহন। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং প্রতিদিন একাধিকবার জীবাণুনাশক স্প্রে করার কথা থাকলেও কোনোটাই করা হচ্ছে না। এমনকি অনেক চালক ও যাত্রী মাস্কও ব্যবহার করছেন না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলছে, তারা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছে। বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) এ কে এম মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রতিদিন মোবাইলকোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জরিমানাও করা হচ্ছে।
তবে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কমলাপুর স্টেশন ছাড়ছে সব ট্রেন। গতকাল সকালে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে তিনটি ট্রেন। এসব ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে বসানো হচ্ছে যাত্রীদের।
projonmonews24/maruf