করোনাভাইরাস নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের হেলাফেলার বলি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুরুতেই দমন করার সুযোগ থাকলে গুরুত্ব দেননি ট্রাম্প। এরই মধ্যে এক লাখের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। লকডাউন চলাকালীন ঘটেছে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়েছেন অনেক মানুষ। জাতি-ধর্মনির্বিশেষে স্বাভাবিক চিন্তার সবাই এখন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেখানে পুলিশ বাধা দেওয়ায় সেটা পরিণত হচ্ছে দাঙ্গায়। এক মিডিয়া কনফারেন্স কলে ট্রাম্প সম্পর্কে ব্র্যাডলি বলেছেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টের মধ্যে কিছু নেই। তার শরীরে একটা হাড়ই নেই, যেটা সৎ। কোনো নেতৃত্ব নেই। প্রেসিডেন্টের মধ্যে কোনো নেতৃত্ব নেই। রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে কোনো নেতৃত্ব নেই। তাঁরা তিন বছর ধরে ট্রাম্প যেসব অপকর্ম করছে, তা শুধু বসে বসে দেখছে আর সে কাজের সঙ্গী হচ্ছে।’
১৫১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার এর আগেও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। ২০১৭ সালে যখন বিভিন্ন দেশে (অধিকাংশ মুসলিম দেশ) ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প, তখনও ব্র্যাডলি ব্যাপারটায় ‘লজ্জা ও দুঃখ’ প্রকাশ করেছিলেন। ব্র্যাডলির মতোই দেশটির নারী ফুটবল দলের তারকা মেগান র্যাপিনো নিয়মিত ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। কদিন আগেই ট্রাম্পকে ‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী’ বলেছেন র্যাপিনো। দেশটির মানুষকে কোনো সাহায্য করছেন না ট্রাম্প, এটাও বলেছেন এই বিশ্বকাপজয়ী।
দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভে সবাইকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এএস রোমা মিডফিল্ডার ব্র্যাডলি। বলেছেন, সমস্যা সমাধানের একটাই পথ, ‘আমি ক্ষুব্ধ, আমি ভীত, আমি দুঃখিত এবং আমি যেকোনো কিছু করতে রাজি এর একটি সমাধান বের করার জন্য। কারণ, এটার শেষ টানা দরকার এবং আমাদের সবাইকে এই সমাধানের অংশ হতে হবে। আমরা যদি সমাধানের জন্য কিছু বদলাতে চাই, তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকা চলবে না। এটা পরিষ্কার।’
projonmonews24/maruf