বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে ট্রাম্প-কন্যা টিফানি ও তাঁর মা


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ছোট মেয়ে টিফানি ট্রাম্প। ছবি: টিফানির ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়াআমেরিকায় পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছোট মেয়ে টিফানি ট্রাম্প। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ ও সামাজিক সাম্যের দাবিতে দেশটিতে সপ্তম দিনের মতো চলা বিক্ষোভ-আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। শুধু টিফানি নন, তাঁর মা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কালো স্ক্রিনের ছবি পোস্ট করেছেন। 

 

টিফানি ট্রাম্প এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জুন দিনভর বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এর পরই নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে পোস্ট দেন টিফানি।


জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের অদূরে লাফায়েত পার্কে সেন্ট জোন্স চার্চে হেঁটে যান। এ সময় বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। গির্জাটি আগের দিন বিক্ষোভকারীদের হাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার, ডিফেন্স সেক্রেটারি মার্ক এস্পার এবং চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন।


জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকা এখন উত্তাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। আর হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভকারীদের ভয়ে এক রাত বাঙ্কারে কাটাতে হয়েছে ট্রাম্পকে। এবার সেই প্রেসিডেন্টের ছোট মেয়ে টিফানি ও তাঁর মা পক্ষ নিলেন বিক্ষোভকারীদের!
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকেই টিফানি ট্রাম্পকে বলেছেন, তিনি যেন তাঁর বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই বিক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করেন।


টিফানি ট্রাম্প। ছবি: টিফানির ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়াসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে #ব্ল্যাকআউটটুয়েসডে হ্যাশট্যাগটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। বিক্ষোভের সমর্থনে একটি কালো স্ক্রিনের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। সেই ছবি ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে শেয়ার করে ট্রাম্পের ২৬ বছর বয়সী মেয়ে টিফানি ট্রাম্প ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একা একা আমরা ছোট কিছু অর্জন করতে পারি; একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি।—হেলেন কিলার।’ একই সঙ্গে টিফানির ওই পোস্টে হ্যাশট্যাগ দেওয়া ছিল, ‘#ব্ল্যাকআউটটুয়েসডে’ ও ‘#জাস্টিসফরজর্জফ্লয়েড’।


বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে টিফানির সেই পোস্ট। ছবি: টিফানির ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়ামিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক আফ্রিকান-আমেরিকানকে গত ২৫ মে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নির্যাতন করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন। এতে সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে চাওভিন ফেঁসে যান। সেখানে দেখা যায়, গলায় হাঁটু চেপে ধরায় ফ্লয়েড নিশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার চাওভিনকে বলছেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।’ ভিডিওটি ভাইরাল হলে চাওভিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। মিনেসোটা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো আমেরিকায়।