ফ্লয়েড হত্যা: বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ, সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত: ০৪ জুন, ২০২০ ১২:৩৪:২৮

ফ্লয়েড হত্যা: বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ, সমালোচনার ঝড়

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষ কেবল মার্কিন বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থনই জানাচ্ছেন না; নিজেদের দেশের বর্ণবাদ ও নানা ধরনের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস।

লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস, ভ্যাঙ্কুবার, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার রাস্তা থেকে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাজধানীগুলোতেও প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঢেউ লেগেছে। লড়াই-সংঘাতে বিপর্যস্ত সিরিয়ার একাংশে শিল্পীরা এঁকেছেন বর্ণবাদবিরোধী ম্যুরাল। চিলি আর লেবাননের আন্দোলনকারীরা মার্কিন বিক্ষোভকারীদের দিচ্ছেন পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে সুরক্ষার নানান পরামর্শ।

আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান মুসা ফকি মাহমাত শুক্রবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ‘কৃষ্ণাঙ্গদের উপর ধারাবাহিকভাবে চলমান বৈষম্য’ নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।

সোমবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বিষয় সমাধান করতে পারবে বলে তারা আশা করছে। সাধারণত কম গণতন্ত্রসম্পন্ন দেশ, যেখানে মানবাধিকারকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় না, সেসব দেশে সহিংস আন্দোলনের বেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও ইরানের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সমালোচক দেশও দাবি করেছে, পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু এবং পরবর্তী ঘটনাক্রম ‘ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া’ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ভণ্ডামি ও দাম্ভিকতাকেই’ তুলে ধরেছে।

মহামারি মোকাবেলায় বেইজিংয়ের ব্যর্থতা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সমালোচনা করে এসেছেন ট্রাম্প। এর প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত চীনা কর্মকর্তারা এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান বিক্ষোভকে নিজেদের ঢাল হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন।

চীনের রাষ্ট্র-পরিচালিত গণমাধ্যমগুলো ফ্লয়েডের মৃত্যু ও এর বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে হওয়া আন্দোলন নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে; যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হওয়া বিক্ষোভকে দেশটির পতনের অন্যতম ইঙ্গিত হিসেবেও চিত্রায়িত করছে তারা।

হংকংয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের লক্ষ্যে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ নিয়ে শনিবার টুইটারে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক কর্মকর্তা তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ