দেশ ‘পুরোপুরি লকডাউন’ চান ৩৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক

প্রকাশিত: ০৪ জুন, ২০২০ ১২:৩৩:১৬

দেশ ‘পুরোপুরি লকডাউন’ চান ৩৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক

দীর্ঘ ৬৬ দিন পর সাধাণ ছুটি না বাড়িয়ে অঘোষিত লডকাউন তুলে নিয়েছে সরকার। লডডাউন তোলার পর থেকেই করোনায় রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে বাংলাদেশে। এমন পরিস্থিতিকে আশঙ্কাজনক দাবি করে পুরো দেশকে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

বুধবার (৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে  নাগরিক সমাজের ৩৪৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ দাবি করেন। 

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, 'কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগী গত ৮ মার্চ চিহ্নিত হওয়ার পর সংক্রমণরোধে যথাযথ লকডাউনের পরিবর্তে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় রাষ্ট্রীয়ভাবে 'সাধারণ ছুটি' ঘোষণা করা হয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পোশাক কারখানা খুলে দিলে রোগীর সংখ্যা দ্রুতই বাড়তে থাকে। এক মাসের মধ্যে রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। আবারো মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঈদ উপলক্ষে দোকান-পাট, কারখানা খোলা এবং অন্যান্য ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেও রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এখন পরিস্থিতি আরো বিপদজনক হয়ে উঠেছে। তাই এ রকম পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ ছিল আরো বেশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার। তাদের পরামর্শকে বিবেচনা না করে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল করার সিদ্ধান্ত খুবই আত্মঘাতী হবে বলে আমরা মনে করছি।'

বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান করোনা পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার কোনো রকম সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা কৌশল ছাড়া সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিসহ দীর্ঘমেয়াদে জীবন ও জীবিকার সংকটে শুধু দরিদ্র আর সাধারণ নাগরিকরাই পড়বেন না বরং সার্বিকভাবে সকলকেই মহাবিপদের দিকে ঠেলে দিবে। এতে দেখা যাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়ে গেলেও অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবেও আমরা বিচ্ছিন্ন থাকবো। এতে এই করোনা পরবর্তী অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিও হারাবে।

বিবৃতিদারা বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে-

১) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত অতি জরুরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জরুরি জনসেবাভিত্তিক কর্মকাণ্ড বাদে সমস্ত অফিস আদালত ও শ্রমঘন কারখানা বন্ধ রাখা হোক। খাদ্য, ওষুধসহ জরুরি পণ্য পরিবহন বাদে সকল আন্তঃজেলা পরিবহন ও গণপরিবহন বন্ধ করা হোক।

২) লকডাউন কার্যকর করার প্রধান শর্ত হিসেবে সকল কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার ও নগদ অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত কল কারখানার শ্রমিক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখতে হবে এবং যেকোন ধরণের ছাটাই বন্ধ রাখতে হবে। একই সাথে লকডাউন তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেজন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা জনপরিসরে দ্রুতই প্রকাশ করা হোক।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

এ সম্পর্কিত খবর

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি পেলোসি

মতিঝিল থেকে রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে মোহাম্মদপুরে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

মোস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবির ভাবনা ঠিক নেই: হার্শা ভোগলে

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ইউক্রেন-ইসরায়েলকে আরও ৯৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আবারও ‘হিট অ্যালার্ট’ এর মেয়াদ বাড়ালো আবহাওয়া অধিদফতর

যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’

পরিমাপে কম দেওয়ায় মহাখালীর ইউরেকা এন্টারপ্রাইজ ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ