চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত হচ্ছে বন্দর হাসপাতাল


চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় কম রয়েছে চট্টগ্রামে হাসপাতালগুলোতে করোনা ইউনিট। তাই চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় এবার যুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল।সম্প্রতি বন্দরের করোনা হয়ে অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যুর পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে বন্দর হাসপাতালের নতুন ভবনে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। 

সেখানে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হবে। এছাড়া আট থেকে দশটি আইসিইউ শয্যা, সিসিইউ ইউনিট ও এইচডিইউ ইউনিট সুবিধাও থাকছে সেখানে। আগামী সপ্তাহে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ দিনের মধ্যে আইসিইউ শয্যা চালু করার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুত বড়ুয়ার পরামর্শ নিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। সোমবার (১ জুন) ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সোমবার বন্দর হাসপাতাল সরেজমিনে দেখেন এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোর ব্যাপার খোঁজ নেন।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর জানান, যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব করোনা চিকিৎসা সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের অনুরূপ করোনা চিকিৎসা সুবিধা বন্দর হাসপাতাল থেকেও দেয়া সম্ভব হবে। হাসপাতালের নতুন তৈরি ভবনে তার সুযোগ রয়েছে। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক এবং অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। আর কিছু ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। দরকার হবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার। 

তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহেই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আইসিইউ বেড চালু করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বন্দর হাসপাতালের সেবার আওতায় রয়েছে। করোনা ওয়ার্ড চালু হলে এই ৪০ হাজার মানুষকে সেবা দেওয়া হবে। এর বাইরে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সেবা দেয়া যায় কিনা সেটা নিয়েও কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর