সিনেমা হল বন্ধ, ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে তিনশ কোটি টাকা!


দুই মাস ধরে বন্ধ ঢাকাই নাটক-সিনেমার শুটিং৷ সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং শুরুর চিন্তাভাবনা করা হলেও ভালো চলচ্চিত্র মুক্তি না পেলে এখনই খুলবে না সিনেমা হল৷

ফলে ঢাকাই চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই থেকে যাচ্ছে৷ কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে টানা সাধারণ ছুটি চলছে৷ এই সময়ে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ থাকায় শুটিং ও সিনেমা হল দুটোই বন্ধ হয়ে যায়৷ 

এ বছর সাধারণ ছুটির মধ্যে ঘরবন্দি অবস্থায় কেটেছে বাংলাদেশের বড় দুই উৎসব বাংলা নববর্ষ ও ঈদ৷ সাধারণত ঈদ ও নববর্ষের সময় বাংলাদেশে সিনেমা হলগুলোতে সবচেয়ে বেশি সিনেমা মুক্তি পায়৷  এবার তা হয়নি৷ 

এই সময়ে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্রায় ১৫টি চলচ্চিত্র আটকে গেছে৷ সেইসঙ্গে সিনেমা হল বন্ধ থাকায় এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ ‘তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা’ বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু৷ 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ছুটি আর না বাড়ানোয় ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব খুলে যাচ্ছে৷ তবে আমরা শুটিং শুরুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি৷ জুনের ১ বা ২ তারিখে মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো৷ শুটিং আর কতকাল বন্ধ রাখবো৷ শুটিং তো শুরু করতেই হবে৷

চলচ্চিত্রে অনেক শিল্পী-কলাকুশলী দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন৷ দুই মাসের বেশি সময় ধরে শুটিং বন্ধ থাকায় তাদের অনেকে বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন৷ লোকসানের মুখে ধুঁকতে থাকা বিএফডিসি-এর কর্মীদেরও দুই মাস ধরে বেতন বন্ধ ছিল৷ 

পরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ‘অনুদান’ হিসেবে পাওয়া ৬ কোটি টাকা থেকে ২৬১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়৷

খসরু আরও বলেন, লকডাউনে সিনেমা হল মালিকরাও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷ আয় না থাকায় আটকে গেছে কর্মচারীদের বেতন৷ হল মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷ 

প্রজন্ম নিউজ/ নুর