শহীদ জিয়ার শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে


মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর যে শিক্ষা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন সে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘দেশকে সম্মৃদ্ধ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশকে সেখান থেকে এগিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হোক তা অনেকই চায় না। এ জন্য ষড়যন্ত্রের মুখে আমাদের পরাজিত করছে। জনগণের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জনগণ ভোটের অধিকার পেলে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে বেগম খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

সোমবার (১ জুন) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্গত খিলক্ষেত থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। অনেকে অনেক কথা বলেন। আমরা নিজেরা কানে শুনেছি, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। এখন আইন করে যদি বাধ্য করা হয় এটাও বলা যাবে না, তাহলে এটা মানা সম্ভব না। আমরা যুদ্ধ করেছি, ধমক দিয়ে সত্য কথা বলা বন্ধ করা যাবে না। ১৯৭১ সালে যিনি ‘আমি মেজর জিয়া’ বলে মানুষের সামনে হাজির হয়েছিলেন, তিনিই আরেকবার বাংলাদেশ যখন দুঃসময়ে এসেছিল ১৯৭৫ সালে তখন আবার জনগণের সামনে হাজির হয়েছিলেন ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি’ এই বলে।’ 

তিনি বলেন, ‘তিনি (জিয়াউর রহমান) জোর করে ক্ষমতা দখল করেন নাই। সৈনিকরা এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশে কোনও আইন ছিল না, প্রতিষ্ঠান ছিল না- দেশটাকে সুশৃংখল করে এবং ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল তখন তিনি দায়িত্ব নিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যান। মেজর জিয়া একাত্তর সালে স্বাধীনতার ডাক দিয়েই ক্ষান্ত হন নাই, সম্মুখ থেকে লড়াইও করেছেন।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম সেক্টর কমান্ডার। জেড ফোর্সের ও কমান্ডার। বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের নেতা তারেক রহমান। বিশ্বের এরকম কোনও নেতা নেই যার মা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আর বাবা জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। তারেক রহমান আমাদের নেতা। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রী। আমরা সেই শহীদ জিয়ার কর্মী। আমরাতো গর্বিত। আমরা কখনো সামরিক আইন জারি করি নাই, যেটা করেছিল আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তাক। আমরা কখনো জরুরি আইন জারি করি নাই, যেটা করেছিল শেখ সাহেব। আমরা গণতন্ত্র হত্যা করি নাই। আমাদের সময় কখনো দুর্ভিক্ষ হয় নাই। শহীদ জিয়ার সময়ে একবার খরা হয়েছিল। অনেকে ধারণা করেছিল অনেক লোক মারা যাবে, কিন্তু তিনি উদ্যোগ নিয়ে সকল এমপিকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে খাবার নিয়ে যার যার এলাকায় পাঠান। আজকে করোনা ভাইরাসের দুঃসময়ে দেশের মন্ত্রী-এমপি সাহেবরা কোথায়? পত্রপত্রিকায় দেখা যায় মন্ত্রী-এমপিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ কোটি মানুষ শহীদ জিয়াকে ভালোবেসেছে। আমরা তাঁর কর্মী। মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারা শহীদ জিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করা, এটা করতে না পারলে এ দাবি করা যাবে না আমরা শহীদ জিয়ার কর্মী।’

প্রজন্ম নিউজ/ নুর