বান্দরবানে ছড়িয়ে পড়ছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২০ ০৬:৫১:১৭

বান্দরবানে ছড়িয়ে পড়ছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। গত ৮ মাসে দুই উপজেলায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১ হাজার ৫৮০টি গরু। এর মধ্যে মারা গেছে তিনটি গরু।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ভাইরাস জনিত একটি রোগ। মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গের মাধ্যমে গরুর শরীরে ছড়ায়। এদিকে এ রোগের প্রতিষেধক ও সঠিক ওষুধ না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দুই উপজেলার গরুর মালিকরা।

জানা গেছে, গত আট মাস আগে লামা উপজেলায় গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ উপজেলায় অন্তত এক হাজার ২০০টি গরু ও আলীকদম উপজেলায় গত এক মাসে ৩৮০টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে আলীকদম উপজেলায় মারা গেছে তিনটি গরু। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৫ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায়।

গরু খাওয়া বন্ধ করে দেয়। শরীরে প্রচণ্ড জ্বর আসে। পাশাপাশি গরুর শরীরের বসন্তের মতো গুটি গুটি চাকা দেখা দেয়। পরে সেখান থেকে পুঁজ জমে ফেটে গিয়ে মাংস খসে পড়ে। জ্বরের সঙ্গে মুখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়। পা ফুলে যায়। ফলে দুধ উৎপাদনও কমে যায়। এই রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এডিস মশা ও মাছি।

গরুর লালা থেকেও ছড়ায়। আক্রান্ত গাভী থেকে বাছুর দুধ পান করলে সেই বাছুরও আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত গরুকে যে সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন দেয়া হয়, সেটি দিয়ে সুস্থ গরুকে ইনজেকশন দিলেও ছড়াতে পারে। খামারে কাজ করা মানুষের পোশাকের মাধ্যমেও এই ভাইরাস অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাস আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন এই রোগের অন্যতম বাহন।

আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নের গরুর মালিক ছাবের আহামদ সাংবাদিকদের জানায়, গত মাস খানেক আগে তার গাভীর গর্দানে একটি ফোস্কার মতো উঠে। পরে সেটির চামড়া উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। খাওয়া বন্ধ করে দেয় গাভিটি। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ানোর পর গাভিটি সুস্থ হয়।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ