চলাচলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি


করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আর না বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমিতভাবে গণপরিবহন (বাস, নৌযান ও ট্রেন) চালু হতে যাচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার (৩১ মে) থেকে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও চলাচল করবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে। সে ক্ষেত্রে গণপরিবহন চালালে ঠাসাঠাসি করে চালানো যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চালাতে হবে। অবশ্যই যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করেই মালিকদের গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিও চলাচলা করানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৯) গুলশান সংলগ্ন গুদারাঘাটে ধোয়া মোছার কাজ চলছে। টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে ঘাটে যাত্রীদের উঠা নামার স্থান সহ পুরো জায়গায় ধোয়া মোছার কাজ শুরু করা হয়েছে।

হাতিরঝিলে ১৫টি ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করতো যার ফলে ভোর ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড় থাকতো এ সময়ে। কিন্তু করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশে চলমান সাধারণ ছুটিতে অন্য সব যানবাহনের পাশাপাশি হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিও চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের ভিড়াভিড়ি, ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ থাকায় চেনা ঘাটে অচেনা দৃশ্যপট সৃষ্টি হয়েছিল ব্যস্ততম গুদারাঘাটে।

শুক্রবার গুদারাঘাট পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত ওয়াটার ট্যাক্সি ঘাটের কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা মিলে ওয়াটার ট্যাক্সির সবগুলো ঘাট ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছে। যাত্রী চলাচলের জন্য সার্বিকভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্য সব গণপরিবহন চালু হওয়ার সাথে সাথে ওয়াটার ট্যাক্সিও চলাচলা শুরু করা হবে।

প্রসঙ্গত, ওয়ারটার ট্যাক্সি সার্ভিসটি চালু হওয়ার পর থেকে গুদারঘাট-রামপুরা ব্রিজ-এফডিসি-এবং পুলিশ প্লাজায় ঘাটের মধ্যে চলাচল করে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো। হাতিরঝিলে ১৫টি ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করতো। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করতো।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর মোহাম্মদ