জাঁকজমক করে ঈদ করার চেয়ে জীবনটা বড়


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে এবং মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে এ বছর নিয়ন্ত্রিতভাবে ঈদ উদযাপন করতে হবে। জাঁকজমক করে ঈদ করার চেয়ে জীবনটা বড়। বেঁচে থাকলে উৎসব করে ঈদ আবার করা যাবে। কিন্তু ঈদ করতে গিয়ে যেন জীবন ঝুঁকিতে না পড়ে সেদিকে সবার নজর দিতে হবে।

সবাইকে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তুা করতে হবে। যারা ইতোমধ্যে নানা উপায়ে ঢাকা ছেড়েছেন তারা সেখানেই অবস্থান করুন। যারা এখনও কোথাও যাননি, তারা বাড়িতেই থাকুন। নিরাপত্তাজনিত কারণে সর্বস্তরে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।

এবারের ঈদে সবাই মিলে আমোদ-ফুর্তি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অনেকে একত্রিত হয়ে এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া যাবে না। কোনোভাবেই কোলাকুলি করা যাবে না। এমনকি আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের প্রচলিত সামাজিক আচার অনুযায়ী ঈদে মুরব্বিদের সালাম করা এবং সালামি নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সুস্থ থাকতে সচেতন হওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক কনুই দিয়ে বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

ব্যবহৃত টিস্যুটি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে (ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার স্থানে) ফেলে দিতে হবে। ঠাণ্ডা লেগেছে বা জ্বরের লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের বা পরিবারের কারও জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

projonmonews24/maruf