‘আম্পানে’ আম-লিচু চাষির মাথায় হাত


ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সারাদেশে আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আম ও লিচুর ক্ষতিতে মাথায় হাত। ঝড়ের কারণে পুঁজি হারিয়ে চাষিদের পথে বসার দশা। এমনিতেই করোনা কারণে আম ও লিচু বাজারজাত নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন তারা। তার উপর ঘূর্ণিঝড়ে লোকসানের শিকার হলেন চাষিরা। 

রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ১০০ থেকে ১২০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে রাজশাহীতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে গাছ থেকে আম ঝরে গেছে। আধা পাকা আমে ছেয়ে গেছে বাগান। প্রায় সব বাগানেই ঝড়ের তাণ্ডব লেগেছে। অনেক জায়গায় বাগানের গাছ উপরে পড়ে গেছে। 

এদিকে বয়ে যাওয়া ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পাবনার লিচু বাগান। ঝড়ের আঘাতে আধা পাকা লিচু ফেঁটে গেছে এবং শত শত গাছের লিচু ঝড়ে পরেছে। ভেঙে গেছে লিচু গাছের ডাল-পালা।

রাজশাহীর আম চাষিদের দাবি, এবছর এমনিতে গাছে আম কম এসেছে। তার উপর ঘূর্ণিঝড়ে গাছের অর্ধেকের কাছাকাছি আম পড়ে গেছে। 

রাজশাহীর আম চাষি মোক্তার হোসেন জানান, তার বাগানে ৩০০টির মতো আমের গাছ রয়েছে। গাছগুলো সব ছোট ছোট। সব মিলিয়ে গাছ থেকে ঝড়ে ১০ মণের মতো আম ঝরে পড়ে গেছে এই চাষির।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, জেলার সদরের চেয়ে জেলার বাঘা ও চারঘাটে আমের বেশি ক্ষতি হয়েছে। সে হিসেবে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আমের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে পাবনার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে লিচুবাগানগুলোর শত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি জেলার লিচু চাষিদের।  

পাবনার ঈশ্বদীর লিচু বাগান মালিক রাসেল হোসেন বলেন, লাভের আশায় ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়ে ১০টি বাগান কিনেছিলাম। কিন্তু আম্পানের তান্ডবে এবার লিচুর বাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার লিচুর ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমাদের এলাকাসহ আশেপাশের আওতাপাড়া, দাপুনিয়া, আটঘোড়িয়া, একদন্ত গ্রামের সব বাগান মিলিয়ে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রজন্ম নিউজ /নুর