কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে সেনাবাজার

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২০ ০২:৫৯:১৪

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে সেনাবাজার

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কক্সবাজারে দুর্গত ও করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এবং কাঁচা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সেনা বাজার ও ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মে) সকাল থেকে সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্ববধানে জেলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি সম্বলিত সেনাবাজারের আয়োজন করা হয়।

এসময় এক হাজার পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে এ বাজার হতে দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সামগ্রী দেয়া হয়েছে প্রায় ২০০ জন মানুষকে।

লকডাউন ও সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে এ অঞ্চলের যে সকল প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না, সেনা সদস্যরা সরাসরি সেসব কৃষকদের নিকট হতে সবজি ক্রয় করে এই বাজারে নিয়ে আসেন। ফলে অসহায় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে উপকৃত হয়েছেন।

এছাড়াও ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে এ ধরনের মহতী কাজের উদ্যোগ অসহায় মানুষের জন্য যেমন ঈদের বোনাসের মতো তেমনি কৃষকদের জন্যও ঈদের উপহার বলে সুধী মহলের অভিমত।

সরেজমিনে জেলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাজারের প্রবেশ পথে ছিল জীবাণুনাশক বুথ ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। প্রকৃত অভাবী মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় বাজার কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংগ্রহ করছেন।

বাজার করতে আসা কলাতলীর একটি হোটেল কর্মচারী লিয়াকত এই প্রতিবেদককে জানান, করোনার কারণে সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকায় নিজের জমানো যে অর্থ ছিল তা অনেক আগেই শেষ, বর্তমানে ধার দেনা করে সংসার চলছে। আজ সেনা বাজার থেকে চাল, আলু, বরবটি, কচুর লতি, কাঁচামরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আবার কানের ব্যাথায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ তিনি কষ্ট পাচ্ছিলেন, আজ এখানে সেনা মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রী ওষুধও পেয়েছেন।

ঈদের আগে সেনাবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম আমাদের মতো অসহায়দের ঈদের আনন্দকে উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার সৈকতের ফটোগ্রাফার হাসান আলীর সাথে। সে জানায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সারা বছরই টুরিস্টের ভিড় লেগেই থাকে। ঈদের সময় টুরিস্টের আনাগোনা আরো বেড়ে যায়। বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কোন টুরিস্ট গত প্রায় তিন মাস যাবত কক্সবাজারে না আসায় তার মত স্বল্পআয়ের মানুষদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত এই সেনা বাজার তার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখন সেও ঈদের উৎসবে শামিল হতে পারবে বলে এ প্রতিবেদককে জানায়।

রামু সেনানিবাসে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সেনাবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে অসহায় এবং প্রান্তিক আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য রামু সেনানিবাসের তত্ত্বাবধানে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ও ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন উপলক্ষে রামু সেনানিবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সেনাসদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

এ সম্পর্কিত খবর

সিলেট সেনানিবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী

পথচারীর জন্য মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন বনানী থানা যুবলীগের

প্রধানমন্ত্রী মোদির বাড়ি ঘেরাও কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিল্লি

টেকনাফ সীমান্তবাসীর ঘুম ভাঙল ওপারের ভারী গোলার শব্দে

হাদিয়া ছাড়াই খতম তারাবি পড়াচ্ছেন ছাত্রলীগের সভাপতি

অরুণাচল চীনের নয় ভারতের রাজ্য : যুক্তরাষ্ট্র

এবার লেবাননে হামলা চালালো ইসরায়েল, অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৫

ঠাকুরগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা পেলেন ৮'শ রোগী

বাগেরহাটে ৪ দিনব্যাপী ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতা শুরু

ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেবে সেনাবাহিনী

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ