পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী না তুলতে হুঁশিয়ারি


করোনা মহামারির কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে গণ পরিবহন সেবা। স্কুল কলেজ আগেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। রাজধানীর বিভিন্ন টানজিট পয়েন্টে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে বিভিন্ন পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকে করে তারা বাড়ির পথে পাড়ি জমাচ্ছেন। কেউ বা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হচ্ছেন। 

পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন না করতে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করেছে সরকার। ঈদকে সামনে রেখে গত কিছুদিন ধরে ঢাকা থেকে লোকজনের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাওয়ার পর নিষেধাজ্ঞার কথা ফের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে আজ বলা হয়, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা হলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে আরও বলা হয়, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কৌশলে যাত্রী পরিবহন চলছে। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

উল্লেখ্য, সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সম্প্রতি এক আদেশে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত ৩০মে পর্যন্ত বর্ধিত করে এবং পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবেনা মর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এর আগে গার্মেন্টস ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বারে ঢাকামুখি মানুষের ঢল নেমেছিল। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ২৩ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর ফলে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। 

প্রজন্ম নিউজ/ নুর