একই দিন চলে গেলেন বায়তুশ শরফ দরবারের পীর ও খতিব

প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২০ ০৪:২১:৫৬

একই দিন চলে গেলেন বায়তুশ শরফ দরবারের পীর ও খতিব

মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ দরবার শরীফের পীর বাহরুল উলুম মাওলানা কুতুব উদ্দীন ও দরবারের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম (প্রকাশ নাজেম সাহেব হুজুর)। 

বুধবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঢাকায় আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পীর সাহেব। এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খতীব।

বিষয়টি নিশ্চিত তার নিকট আত্মীয় প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার বিকেল ৪টার পর থেকে হুজুরের হার্টবিট পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা। বিকেল সাড়ে ৫ টায় আমরা হুজুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।’

মাওলানা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সূফী মিয়াজী পাড়া গ্রামের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৫৯ সালে স্বর্ণপদক সহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল পাস করেন।

হাদিস বিশারদ ও কুরআনের তাফসিরকারক মাওলানা কুতুব উদ্দীন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান। কর্মজীবনে তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের সেরা অধ্যক্ষের পুরস্কারও অর্জন করেন।

তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার ধনিয়ালা পাড়ায় অবস্থিত বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত সূফীসাধক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রহ) এবং বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ) এর সান্নিধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন। ১৯৯৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফের পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর লিখা একাধিক বিখ্যাত ধর্মীয় গ্রন্থও রয়েছে।

অন্যদিকে খতীব মাওলানা নুরুল ইসলামের বাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানাধীন বড় হাতিয়া আখতরাবাদ কুমিরাঘোনা এলাকায়। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও মেয়ে পাচঁ মেয়ে রেখে গেছেন। 

তিনি বায়তুশ শরফ আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বায়তুশ শরফ দরবারের মরহুম পীর সাহেব কেবলা, আধ্যাত্বিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, শাহসুফী আল্লামা শাহ আবদুল জব্বার (রাহ) এর জৈষ্ঠ্য মেয়ের জামাতা। হুজুরের পুরো জীবনটাই বায়তুশ শরফ দরবারের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন৷  আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফ দরবারের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। সুললিত কণ্ঠে মিলাদ শরীফ, জিকির, কাসিদায়ে গাউসিয়া শরীফ পরিচালনা করতেন।

তিনি সাতকানিয়ার চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাজিল এবং চট্টগ্রাম ওয়াজেদিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেন। 

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ