করোনায় চরম দরিদ্র হতে যাচ্ছে ৬ কোটি মানুষ: বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ২০ মে, ২০২০ ১২:৪১:১০

করোনায় চরম দরিদ্র হতে যাচ্ছে ৬ কোটি মানুষ: বিশ্বব্যাংক

করোনাভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক পরিণতি বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।এ কথা বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস।বর্তমান পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় বলেও মনে করেন তিনি। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের 'চরম দারিদ্র্য' বলতে ওই মানুষকে বলা হয়েছে, যিনি প্রতি দিন ১ দশমিক ৯০ ডলারেরের (১৬১ টাকা) চেয়ে কম অর্থে জীবনযাপন করেন।

গতকাল মঙ্গলবার মালপাস বলেন, বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক উৎপাদন পাঁচ শতাংশেরও বেশি সংকুচিত হবে। যা দারিদ্র্য দূরীকরণে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর গত তিন বছরে প্রচেষ্টা মুছে ফেলবে। লাখ লাখ জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চাপের মধ্যে রয়েছে।

মালপাস বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যগত ও লকডাউনের কারণে যে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে, তা মারাত্মক। আমাদের অনুমান যে ৬ কোটি মানুষ একেবারে দরিদ্র হয়ে যাবে।'

দরিদ্র দেশগুলোকে সংকট মোকাবিলায় সহায়তায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ১৬০ বিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং ১৫ মাসের স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছে।

মালপাস বলেন, ১০০টি দেশের জন্য ইতিমধ্যে জরুরি অর্থ ছাড় করা হয়েছে। এই ১০০ দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বাস করে। এই অর্থ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহে প্রদান করা হচ্ছে।তবে তিনি একথাও বলেন, বিশ্বব্যাংক যে পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করছে, তা পর্যাপ্ত নয়।

মালপাস বলেন, বিশ্বের ৭৩টি দরিদ্রতম দেশের জন্য 'ঋণ সেবা স্থগিতকরণ উদ্যোগে' অংশ নিতে বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের অনীহা দেখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। যা গত মাসে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন জি–২০ এর বৈঠক থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখার জন্য ইতিমধ্যে ১৪টি দেশ ঋণদাতাদের কাছে আবেদন করেছে। আরও ২৩টি দেশ আবেদন করতে যাচ্ছে। ১৭টি দেশ আবেদনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে।

           

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ