খুলনা দিয়ে বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে ‘আম্পান


দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’-এ পরিণত হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি খুলনা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। 

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে উড়িষ্যা প্যারাদ্বিপ থেকে এক হাজার ৪০ কিমি দক্ষিণে, পশ্চিবঙ্গের দিঘা থেকে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে এক হাজার ৩০০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

রবিবার (১৭ মে) এটি তীব্র রূপ ধারণ করে প্রথমে এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক অগ্রসর হলেও কিছুটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের (বাংলাদেশ) উপকূল দিয়ে এটি সমতলে উঠে আসবে ১৮ থেকে ২০ মে’র মধ্যে।

এক্ষেত্রে কলকাতা হয়ে খুলনা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। প্রভাব থাকবে রাজশাহী অঞ্চলেও। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগের ছকঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়িষ্যাতে ১৮ ও ১৯ মে ভারী থেকে ‍অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আর পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের অঞ্চলে ১৯ ও ২০ মে ভারী থেকে অতি ভারী এবং তীব্র ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে রবিবার (১৭ মে) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১১.৫ক্ক উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.১ক্ক পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

এটি রবিবার সকাল ৬ টায় (১৭ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৫৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

প্রজন্ম নিউজ/নুর