রাবির ল্যাবে পড়ে আছে পিসিআর মেশিন, নীরব প্রশাসন


অনেকটা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় যত বেশি সম্ভব নমুনা পরীক্ষা করে রোগীদের আলাদা করার কোনো বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিভাগের রাজশাহী ও বগুড়ায় দুটি ল্যাবে এখন দুই শিফটে সর্বোচ্চ ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ল্যাব সংশ্লিষ্টরা একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।

সে ক্ষেত্রে রাজশাহী বিভাগে আরও ল্যাব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। সেইদিক বিবেচনা করে রাজশাহী হাসপাতালে আরেকটি ল্যাব প্রতিষ্ঠার প্রায় শেষ দিকে রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) করোনা পরীক্ষার দুটি ল্যাব থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না ল্যাব দুটি। এমনকি ছুটির ফাকে অব্যবহৃত পড়ে আছে ল্যাব দুটি। অথচ করোনা ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে হন্নে হয়ে ঘুরছে সরকার।

সূত্রে জানা গেছে, রাবি এ্যাপ্লাইড ক্যামেস্ট্রি বিভাগে একসঙ্গে ৪৮টি এবং ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের ল্যাবে একসঙ্গে ৯৪টি করোনার নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই দুটি ল্যাবে কেনা আরটিপিসিআর মেশিন দুটি বসানো হয়েছে কয়েক বছর আগেই। এগুলো চালুও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে ল্যাবটি বসানো হচ্ছে এবং রামেকে যে ল্যাবটি এরই মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে সে দুটি ল্যাব বায়োসেফটিক লেভেল-২ তেমনভাবে মানা যায়নি। কিন্তু রাবির দুটি ল্যাবই বায়োসেফটিক লেভেল-২ একেবারে মেনেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই হিসেবে এই দুটি ল্যাবে করনো পরীক্ষা গেলে সামাজিক দূষণের সম্ভাবনাও একেবারে নাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুটি বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষে থেকে প্রয়োজনে ল্যাব চালু করা যেতে পারে বলে মন্তব্যও করা হয়েছে।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর