রুপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে অর্ধশত দোকান পুড়ে ছাই


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিপণিকেন্দ্র গাউছিয়া মার্কেটের ‘টিন মার্কেটে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে মার্কেটটির প্রায় অর্ধশত দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় তিন কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেলে উপজেলার ভূলতা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গাউছিয়া মার্কেট বন্ধ রয়েছে। মার্কেটের একটি ওষুধের দোকানে থাকা ফ্রিজের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুণের সূত্রপাত হতে পারে এমন ধারণা করছেন দোকানিরা। এ ঘটনায় গাউছিয়া মার্কেটকর্মী ও আনসাররা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে টিন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন মার্কেটের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মার্কেটে টিনের ঔষধের দোকান, মুদি দোকান ও কাঁচামালের দোকানসহ কমপক্ষে ৫০টি দোকান ও ভেতরের সব মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।

খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, আড়াইহাজার ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আর সে সময়ে আগুনে পুড়ে প্রায় অর্ধশত দোকান ও সব মালামাল পুড়ে যায়।

গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল সময় নিউজকে জানান, গাউছিয়া মার্কেটের মালিকানাধানী তিন নম্বর ইউনিটটি কাঁচাবাজার। এই কাঁচাবাজারে বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকান, মুদি মনোহরী দোকান, কাঁচামাল, সবজি, তেলের দোকান ও চালের আড়তসহ ১৫০টি দোকান রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দুপুর আড়াইটায় দোকানপাট বন্ধ করে গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে তিন কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার শাহ আলম জানান, ছয়টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ এম এ মান্নান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত করা হচ্ছে।

তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তেলের দোকানে লেগে গেলে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। এতে করে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রজন্ম নিউজ/নুর