ভিক্ষুকের চালে ভাগ বসালেন আ.লীগ নেতা!


ওএমএসের চালে ভাগ বসালেন এক আ.লীগ নেতা। গরীবদের জন্য সরকারের প্রদত্ত ওএমএসের কার্ডে নিজের মেয়ে-স্ত্রীসহ পরিবারের ১২ জন সদস্যের নাম তুলেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এমন ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শহরে তোলপাড় শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি তারা জেনেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর বলছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি। আওয়ামী লীগ নেতা জানান, তিনি ও নাম দেওয়া পরিবারের অন্য সদস্যরাও গরীব।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভিক্ষুক ও ভবঘুরেসহ হতদরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা কোনো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির অর্ন্তভূক্ত নয় তাদের জন্য বিশেষ ওএমএস সুবিধা চালু করা হয়েছে। এই সুবিধায় একজন ওএমএস কার্ডধারী প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। সে জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এলাকায় ৯,৬০০ জনকে দেয়া হচ্ছে ওএমএস কার্ড। কার্ডের জন্য প্রথম দফায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এই তালিকা করা হয়। প্রথম দফার তালিকা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে ২০ কেজি করে চাল ইতিমধ্যেই দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর সভার ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্টির পরিচালক ও জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহ আলম তার স্ত্রী, মেয়ে, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, ভাই, বোন, বোনের দেবরসহ তার পরিবার ও নিকটাত্মীয় ১২ জনের নাম তুলেছেন ওএমএস কার্ডের তালিকায়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের ওএমএস তালিকা থেকে জানা গেছে, পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের ওএমএস কার্ডের তালিকায় ১২ নম্বরে রয়েছে মো. শাহ আলমের কন্যা আফরোজা ও ১৬ নম্বরে তার স্ত্রী মোছাম্মৎ মমতাজ আলমের নাম।

ধর্নাঢ্য পরিবারের সন্তান শাহ আলম গরীবের ওএমএস কার্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ নিকটাত্মীয় ১২জনের নাম তোলায় সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। এ ঘটনায় সরকার যে সুবিধা দিচ্ছে সেটি থেকে গরীব-অসহায়রা বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহআলম নিজে পৌর সভার ১০ নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহআলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে মহল্লার হতদরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা আছেন তাদের তালিকা করতে। এই তালিকা কাউন্সিলরের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর