শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আজও অনলাইনে মিটিং করেছি। অধিকাংশ দোকানদার দোকান না খোলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই ঈদ উপলক্ষে নিউমার্কেট খুলছে না।’

এছাড়া বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা সম্ভব না হওয়ায় মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কেট কর্তৃপক্ষ।’

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদ উপলক্ষে আগামী ১০ মে থেকে শপিং মল ও দোকানপাট খোলার কথা রয়েছে। তবে এরমধ্যে বসুন্ধরা শপিং মল ও যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার ঘোষণা এসেছে।

এছাড়া করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়ার সব পাইকারি মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাইকারি মার্কেটগুলো হলো বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার, বঙ্গ ইসলামি সুপার মার্কেট। এসব মার্কেটে জুতা, গার্মেন্টস কাপড় পাইকারি বিক্রি করা হয়। সারা দেশ থেকে এসব মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

বৈঠক শেষে এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, গত ২৩ মার্চ করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়ার ওই মার্কেটগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি ১০ মে থেকে দেশের সব মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেয় সরকার। কিন্তু পবিত্র রমজানের মাঝামাঝি সময়ে পাইকারি মার্কেটে তেমন বেচাকেনা হয় না। উল্টো এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক রয়েছে। তাই মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। করোনা–পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব মার্কেট বন্ধ থাকবে।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর