মে-জুড়েই জাপানে জরুরি অবস্থা থাকছে

প্রকাশিত: ০৫ মে, ২০২০ ১২:৪৫:৩৮

মে-জুড়েই জাপানে জরুরি অবস্থা থাকছে

 জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। টোকিও, ০৪ মে। ছবি: এএফপিজাপান সরকার করোনার সংক্রমণ সামাল দিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংসদে আজ সোমবার সরকার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সম্মতি পাওয়ার পর সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। জরুরি অবস্থা ঘোষণার অনুমতি সংসদ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছে।

আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তিনি ঘর থেকে বের হওয়ায় বাধা নেই, উল্লেখ করে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন সবাইকে। অন্যদিকে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি সহায়তা ৮ মে থেকে দেওয়া শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শিথিল করা হচ্ছে কিছু কিছু নিয়ন্ত্রণ

নতুন মেয়াদে জরুরি অবস্থা মে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত বহাল থাকলেও কিছু কিছু দিকে এর প্রয়োগ শিথিল করার পরিকল্পনাও জাপান সরকার একই সঙ্গে গ্রহণ করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা জরুরি অবস্থার ফলে নাগরিকদের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে দেখা দেওয়া অবসাদ দূর করার লক্ষ্যেই সেই পথে সরকার অগ্রসর হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে না এলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সরকারি প্যানেল মনে করছে, এলাকা বিশেষে কিছু কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হলে পরিস্থিতির তেমন অবনতি তা ঘটাবে না।

 

উপদেষ্টা প্যানেলের বৈঠকের পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা সাংবাদিকদের বলেছেন, যেসব জেলায় সংক্রমণ পরিস্থিতিকে বিশেষ সতর্কতামূলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি, সেই সব জেলায় কিছু কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করা হবে। যেমন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ পদক্ষেপ গ্রহণের শর্তে পার্ক, পাঠাগার ও জাদুঘর খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি এখনই পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

গত মাসের ৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শুরুতে ৭টি জেলায় এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। পরে এপ্রিলের ১৬ তারিখে জরুরি অবস্থা দেশজুড়ে সম্প্রসারণ করে নেওয়া হয়।

এদিকে গতকাল জাপানে নতুন আরও ২০৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় সংক্রমণের মোট সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অন্যদিকে সরকারি হিসাবে করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৫৪ জন। সার্বিক পরিস্থিতির সামান্য অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে জানানো হয়, জাপানে ৯ এপ্রিল সংক্রমণের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়ায়। ১৮ এপ্রিল তা ১০ হাজারে পৌঁছায়। অর্থাৎ সময় লেগেছে ৯ দিন। পরবর্তী ৫ হাজার অর্থাৎ ১৫ হাজার পার হতে সময় লেগেছে ১৫ দিন। ফলে এসব বিবেচনায় সরকার কিছুটা আশ্বস্ত।

projonmonews24/maruf

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ