ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকস্রোত

প্রকাশিত: ০১ মে, ২০২০ ০৭:১৩:৩৫

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকস্রোত

করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত গাজীপুর জেলাজুড়ে চলছে লকডাউন (অবরুদ্ধ) অবস্থা। জরুরি সেবা ও বিশেষ কিছু খাতের প্রতিষ্ঠান ছাড়া এখানকার সব বন্ধ। বন্ধ গণপরিবহনও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে এভাবে সবকিছু বন্ধ থাকলেও শনিবার (২ মে) থেকে খুলছে পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্পের কারখানা। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের সব নির্দেশনাকে পায়ে মাড়িয়ে গাজীপুর ও ঢাকা অভিমুখে আসছেন হাজার হাজার শ্রমিক। বেশিরভাগ শ্রমিকই ‘চাকরি বাঁচাতে ফিরতে বাধ্য’ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।

শুক্রবার (১ মে) মহাসড়কের এমসি বাজার, নয়নপুর, স্কয়ার মাস্টার বাড়ি, মাওনা চৌরাস্তা, ভবানীপুর, গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি ও জৈনাবাজার এলাকায় কারখানামুখী শ্রমিকদের এ স্রোত দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে রাস্তায় টহলরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ পরিস্থিতি সামাল দিতে যেন হিমশিম খাচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

করোনার বিস্তাররোধে সরকারি ছুটির সঙ্গে গত ২৫ মার্চ থেকে কারখানা বন্ধ হলে শিল্পাঞ্চলখ্যাত গাজীপুর থেকে প্রথমবার কয়েক লাখ শ্রমিক তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু এর কিছু দিনের মাথায় কারখানা খোলার খবরে ফের গাজীপুর অভিমুখে ছোটেন শ্রমিকরা।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে, রিকশায়, খোলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে তুমুল ভোগান্তি সয়ে আসেন তারা। পরে কারখানা বন্ধের খবরে আবার সেই ভোগান্তি সয়েই অনেকে বাড়ি ফিরে যান। সবশেষ গত ২৫ এপ্রিলও শ্রমিকদের ঠিক একইরকম ভোগান্তি সয়ে গাজীপুরে ফিরতে দেখা যায়।

শুক্রবারও একইভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলমুখী শ্রমিকদের ঢল দেখা যায়। অনেককে দেখা যায় ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ভ্যানগাড়িতে চড়ে ফিরতে।

যদিও এজন্য কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। অবশ্য কিছু কিছু স্থানে শ্রমিকদের আটকাতে তৎপর দেখা যায় পুলিশকে। খোলা ট্রাক ও পিকআপে করে যারা ফিরছিলেন তাদের বিভিন্ন চেক পয়েন্টে আটকেও দেয় পুলিশ। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় নারী শ্রমিকদের। অনেকে কোন দিকে যাবেন, সেই দ্বিধা-ধন্দে ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে।

প্রজন্ম নিউজ/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ