করোনা ঠেকানোর উছিলায় ‘যুদ্ধাপরাধে’ লিপ্ত মিয়ানমারের সেনারা

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০৫:৩৮:২১

করোনা ঠেকানোর উছিলায় ‘যুদ্ধাপরাধে’ লিপ্ত মিয়ানমারের সেনারা

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।

গেল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, ‘রাখাইনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী দায়ী। রাখাইনের স্বাধীনতাকার্মী সংগঠন ‘রাখাইন আর্মি’র সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সেনাদের সংঘাত চলছে।’

ইয়াংহি লি আরও বলেন, ‘রাখাইনে শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বৌদ্ধদের একটি আশ্রমে আক্রমণ করেছে সেনাবাহিনী। শত শত মানুষকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে শিরোশ্ছেদ করা হয়েছে। তাদেরকে রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করেছি আমরা।’

মিয়ানমার সেনাদের এসব নিপীড়নমূলক ঘটনাকে ‘মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলোকে একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুত্বর লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন লি।

লি’র অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সিএনএন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই বিশেষ দূত বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। গত মার্চে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা প্রভাবিত মন্ত্রীকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটিতে স্থান দেয়া হয়। তাতে করে সেনাবাহিনী আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত ক্ষমতাবলেই দেশটির সেনারা যুদ্ধাপরাধের মতো কর্মকাণ্ডে দ্বিগুণ উৎসাহ পাচ্ছে।’

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নামে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী অং সান সু চি’র বেসামরিক সরকার সর্বোচ্চ সুযোগ নিচ্ছে। এই সুযোগে সেনাবাহিনী আরকান আর্মিকে নির্মূলে মাঠে নেমেছে। দুপক্ষের মাঝে বহু নিরপরাধ মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। যেদিকে মিয়ানমার সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।

উল্লেখ্য, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা-ধর্ষণ ও নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর নতুন করে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও নিজ দেশের লোকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না মিয়ানমার।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ