আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাওরের কৃষকরা

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ১০:০২:০৫

আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাওরের কৃষকরা

হাওর অঞ্চলের সাতটি জেলার মানুষ এখন আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। মেঘ গুড়গুড় করলেই তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। একদিকে তারা ধান কাটছেন, অন্যদিকে বাকি ধান ভালোভাবে তারা ঘরে তুলতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে আতঙ্ক।

গত কয়েকদিন ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু জায়গায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে হাওরবাসীর চিন্তায় এখন শুধু আবহাওয়া। তবে কোনো কোনো হাওরে ধান কাটা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। আর ৪-৫ দিন ঝড়, বৃষ্টি, শিলা না হলে তারা পুরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের দক্ষিণাংশের কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ চমকানোসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি বা দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি হলে চরম ক্ষতি হবে হাওর অঞ্চলে। এই আশঙ্কা ধান ঘরে না ওঠা পর্যন্ত হাওরবাসীর থাকবে।

এবার হাওর অঞ্চলে ধান ঘরে তোলার জন্য সরকারের দেয়া ধানকাটা যন্ত্র হারভেস্টার, রিপার সরবরাহ ও শ্রমিক ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছে। এত কিছুর পর এখনও ৫৬ ভাগ ধান কাটা বাকি হাওরে। এ কারণেই কৃষকের মনে আতঙ্ক। কারণ আবহাওয়া কখন কোন খেলা খেলে তা বলা মুশকিল। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাওরের ধান কাটা শেষ করা যাবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

নেত্রকোনা জেলার তিনটি হাওর অঞ্চল খালিয়া জুরি, মদন ও মোহনগঞ্জ। এ তিনটি হাওরের মধ্যে খালিয়াজুড়িতে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ, মদনে ৫০ ভাগ ও মোহনগঞ্জে ৫০ ভাগ ধান কাটা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। গড়ে এ তিন উপজেলায় ৬০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। নেত্রকোনার কৃষকরা এবার ধানের দামও পাচ্ছেন ভালো। তারা জমি থেকে কেটেই প্রতি মণ ভেজা ধান ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

প্রজন্ম নিউজ/ নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ