যবিপ্রবিতে করোনা পরীক্ষা শুরু


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার ১৩টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যদিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সিভিল সার্জন ও আইইডিসিআর’র মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। জিনোম সেন্টারে বৃহত্তর যশোর জেলার (যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ) করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। প্রথমদিনে যশোরের নমুনা দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেকে টিমে চারজন বিশেষজ্ঞ ও দুইজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট রয়েছে। প্রথম ১৪দিন কাজ করবেন জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হাসান আল ইমরান ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাজিদ হাসান, ল্যাব টেকনোলজিস্ট মাসুদুর রহমান ও দীপংকর চক্রবর্তী।

যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, আমরা দুটি টিমে ভাগ করেছি। প্রথম টিম ১৪দিন কাজ করার পর কোয়ারেন্টাইনে চলে যাবে। এরপর দ্বিতীয় টিম কাজ করবে। পর্যায়ক্রমে দুটি টিম কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, বৃহত্তর যশোরের চারটি জেলার নমুনা পরীক্ষার দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। প্রথম দিন শুক্রবার যশোরের সিভিল সার্জনের কাছ থেকে ১৩টি নমুনা পেয়েছি। আজই পরীক্ষা সম্ভব হবে। পরীক্ষার ফলাফল সিভিল সার্জন ও আইইডিসিআর’র কাছে পাঠিয়ে দিবো। তারাই ফলাফল ঘোষণা করবেন।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসে জানান, জিনোম সেন্টারে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এর বেশিও নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা ও জনবল আছে। তবে এটা নমুনা সরবরাহের উপর নির্ভর করবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/সবুজ