৩০ বছরের স্বেচ্ছাবন্দি জীবনে কি করতেন ‘রহস্যময়ী সুচিত্রা’!

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল, ২০২০ ১১:০৮:৫৪

৩০ বছরের স্বেচ্ছাবন্দি জীবনে কি করতেন ‘রহস্যময়ী সুচিত্রা’!

স্বেচ্ছা নির্বাসন একটা সাধনা। একলা থাকা মানেই একাকীত্বে ভোগা নয়, বরং একলা যাপন অনেক সময়েই আরও বৃহত্তর সাধনার পরিচায়ক হয়। মহানায়িকা সুচিত্রা সেন সেই সাধনাতেই ব্রতী ছিলেন।

তার জন্য সে সময়ে তাকে কম ব্যঙ্গ, কটু কথা, অপমানজনক মন্তব্য শুনতে হয়নি। কেউ বলেছে নিজের বাজার পড়ে যাচ্ছে জেনে নির্বাসন, কেউ বলেছে শ্বেতী হয়ে গেছে, কেউ আবার রটিয়েছে ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে তার, তাই স্বেচ্ছা নির্বাসন। কিন্তু এসব কোনও কিছুই টলাতে পারেনি সুচিত্রার সাধনা। 

কথায় বলে, যা নিষিদ্ধ, যার সবটা জানা যায় না, তাই নিয়ে কৌতূহল কখনও কমে না। তাই সুচিত্রার এই অন্তরাল যাপন তো শুধু রহস্য নয়, কিন্তু একটা বড় কৌতূহল থেকে গেছে, বন্দি জীবনে ঠিক কী করতেন সুচিত্রা?

নিজেকে ইহজগতের মোহ থেকে মুক্ত করার দীক্ষামন্ত্র সুচিত্রাকে দিয়েছিলেন ভরত মহারাজ। শোনা যায়, ১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবি ফ্লপ করার পরে সুচিত্রা ছুটে গেছিলেন ভরত মহারাজের কাছে। 

ভরত মহারাজ বলে দেন “মা, লোভ কোরো না”। ওই মন্ত্রই যেন সুচিত্রা নিজের শেষ জীবন অবধি চলার পথে পাথেয় করে নেন। সমস্ত লোভ ত্যাগ করার জন্য ঘরে বন্দি করে ফেলেন নিজেকে।

সেই সময়ে দুই নাতনি নয়না (রাইমা) ও হিয়া (রিয়া) সঙ্গে থাকত। মহানায়িকা নিজেকে মুড়ে রাখতেন বোরখায়, কোনও ভাবেই যেন তাকে দেখা না যায়। নিজের মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখতেন সর্বদা।

শোনা যায়, তার পরিবারের লোকজনদের কাছে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের মধ্যেও তার অবাধ যাতায়াত ছিল। কারও বান্ধবী সুচিত্রা, কারও সুচিত্রা ফুপু, কারও মা, আম্মা, কারও সুচিত্রা খালা তিনি। তিনি “মেশো কিন্তু মিশে যেওনা”-তে বিশ্বাসী ছিলেন। 

তাই যাদের সঙ্গে মিশতেন, সেখানেও একটা সীমারেখা টেনে রাখতেন। তাই জন্যই শেষ জীবন পর্যন্ত থাকতে পেরেছিলেন অন্তরালে।

অথচ না কোনও অবসাদ, না কোনও রোগ, না কোনও বিকার। কেবল অবসর। সুচিত্রা নিজের সেরা সময়টা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। তাই হয়তো সংবাদমাধ্যমগুলোর কৌতূহল কখনও কম পড়েনি তাকে নিয়ে। 

প্রজন্মনিউজ২৪/সবুজ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ