মৃত্যুর মিছিলে ৯৪ বাংলাদেশি, যুক্তরাষ্ট্রেই ৬৩ প্রবাসী

প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল, ২০২০ ০৮:২২:৫৮

মৃত্যুর মিছিলে ৯৪ বাংলাদেশি, যুক্তরাষ্ট্রেই ৬৩ প্রবাসী

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এই মিছিলে যোগ হচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। দেশে অথবা প্রবাসে প্রায় প্রতিদিনই মরণঘাতি এই ভাইরাসে বাংলাদেশিরা প্রাণ হারাচ্ছেন। প্রবাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে সংখ্যা বেশি, সেখানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ৮ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশেই দুইজন ও নিউইয়র্কে ৬ জন। 

স্থানীয় সময় দেশটিতে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্রুকলিনে ২ জন, কুইন্সে ৩ জন ও ব্রেঙ্কসে ১ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ৫ জন বাংলাদেশি।

এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশসহ ১১ দেশে এ পর্যন্ত ৯৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছেন ৬৩ জন। করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৯৬ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি অন্তত কয়েকশ আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮। আর যুক্তরাষ্ট্রে ৬৩ জন ছাড়া যুক্তরাজ্যে ১১ জন, সৌদি আরবে ৩ জন, ইতালি ও কাতারে ২ জন করে, স্পেন, সুইডেন, লিবিয়া, আরব আমিরাত ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে মারা গেছেন।

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো, সেখানকার বাংলাদেশি সম্প্রদায় এবং অনানুষ্ঠানিক নানা সূত্র থেকে করোনাভাইরাসে নিহত ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশিদের মৃত্যুর দিক দিয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেখানকার জ্যাকশন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে সংবাদ আছে তাতে ধারণা করছি, উবার ও ট্যাক্সিচালকদের বড় একটি অংশ আক্রান্ত হয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে এদের সংখ্যাই বেশি। উবার বা ট্যাক্সিতে বিভিন্ন দেশের মানুষ উঠেছেন। আমেরিকায় নতুন আসা বিদেশিরা উঠেছেন। আক্রান্ত ইউরোপের দেশগুলোর মানুষও উঠেছেন। এভাবে চালকরা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। পরিবারকে আক্রান্ত করে থাকতে পারেন’।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির পর তাঁর স্বজনদের হাসপাতালে যাওয়া-আসার কোনো সুযোগ নেই। রোগী সুস্থ হলে এবং রোগী মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের স্বজনদের খবর পাঠাচ্ছেন। আর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে এ নিয়ে ওই দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য জানায় না।

প্রজন্মনিউজ২৪/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ