প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল, ২০২০ ০৬:৫৩:০০
টোকিও থেকে ১০০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত মাউন্ট ফুজি। অতি সক্রিয় না হলেও এই আগ্নেয়গিরির কিন্তু মৃত নয়। এটি জাপানের। সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াল গ্রাসের এই দুর্দিনের যদি হয় বিশাল অগ্নুৎপাত, তাহলে কী হবে?
সম্প্রতি এই আন্দাজ পেতেই একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল জাপান প্রশাসন। আর তাতে বেশ ভয়াবহ ফলের আভাস পেলেন তারা।
মাউন্ট ফুজি জাপানিদের কাছে আবার এটি বেশ পবিত্রও। কিন্তু এই মাউন্ট ফুজিই যদি এখন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তা জানতেই পরীক্ষা করেছিলেন জাপানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিনিধিরা।
মোট ৯২ বার একটি সিমুলেটরে অগ্ন্যুৎপাতের অনুরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পরীক্ষা করেন তারা।
এই পরীক্ষার ফল কিন্তু বেশ ভয় ধরিয়েছে জাপান প্রশাসনের মনেও। মাউন্ট ফুজিতে অগ্নুৎপাত শুরু হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে টোকিও শহরের ওপর। তবে ফুটন্ত লাভা টোকিওর মূল অঞ্চলে প্রবেশ করতে না পারলেও শহরতলিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তবে সবচেয়ে বড় ভয় ছাইকে নিয়ে।
অগ্ন্যুৎপাতের তিন ঘন্টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা শহর ঢেকে যেতে পারে এই ছাইয়ে। মোট ১৭.৩ বিলিয়ন কিউবিক ফিট ছাইয়ের তলায় চাপা পড়ে যেতে পারে টোকিও শহর।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এক ইঞ্চি ছাই যদি রাস্তায় জমা হয়, তাহলে মোটর বাইক আর চালানো যাবে না। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে রেল পরিষেবা। স্তব্ধ হয়ে যাবে বিমান পরিষেবা, মোবাইল ফোনের পরিষেবা। সেই সঙ্গে প্রাণহানি তো আছেই। মোটের ওপর বেশ কয়েকদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবে টোকিও।
উল্লেখ্য, শেষবার ১৭০৭ সালে ফাউন্ট ফুজি থেকে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। সেবার ২৮.২ বিলিয়ন কিউবিক ফিট ভলক্যানিক ছাই তৈরি হয়েছিল।
প্রজন্মনিউজ২৪/নুর
পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন'২৪
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম
ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বন্যার পর ঘন কুয়াশার প্রকোপে আরব আমিরাত
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টা
বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন