​চায়ের আড্ডায় করোনা, ঘরে থাকছে না গ্রামাঞ্চলের লোকজন!

প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল, ২০২০ ০৭:০৬:৪৫

​চায়ের আড্ডায় করোনা, ঘরে থাকছে না গ্রামাঞ্চলের লোকজন!

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে ঘরের বাহিরে না যেতে সরকারিভাবে বলা হলেও তা মানছে না গ্রামের লোকজন। গ্রামবাসীর চলাচল প্রায় আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে শহরের তুলনায় সংক্রামনের ভয়াবহতা গ্রামে বেশি ছড়ানোর শঙ্কা।

সকাল-সন্ধ্যা সব সময় গ্রামীণ হাট-বাজারসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে দোকানগুলোতে এখনো মানুষের ভির। শহরের লোকজন সাবধান হলেও সচেতনতা নেই গ্রামীণ জনপদে। প্রশাসনের লোকজন এলে ছত্রভঙ্গ হলেও পরক্ষনেই আড্ডায় মেতে উঠছে গ্রামবাসী। প্রায় প্রতিদিনই হাটবাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কিছু ব্যবসায়ীর জরিমানা আদায় করছেন প্রশাসন। দিনমজুর শ্রমজীবি ও ছিন্নমুল মানুষদের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও মানুষকে ঘরে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের গ্রামগুলোতে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীন জনপদ ঘুরে দেখা গেছে, আগের মত বাহিরে ঘোরাফেরা অব্যহত রয়েছে গ্রামে। গ্রামের মাঠ-ঘাট, হাট-বাজার, সড়কের মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে মানুষের খোঁশ গল্পের আড্ডা। এসব আড্ডায় করোনা ভাইরাস সংক্রামন নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চললেও নেই তাদের মাঝে সচেতনতা। এ গ্রাম সে গ্রাম বা এ পাড়া সে পাড়ায় অবাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। ভিক্ষাবৃত্তিও বন্ধ হয়নি। যদিও ভিক্ষুকদের বাড়ি বাড়ি ১০ দিনের খাবার পৌছে দেয়ার দাবি করছে প্রশাসন। এ ছাড়াও সরকারিভাবে ছিন্নমূল মানুষদের জন্য দুইশত মেট্রিক টনজিআর চাল ও নগদ ১০লাখ ৩৫ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্ধ বিতরণ করছে জেলা ত্রাণ শাখা। মজুদ রয়েছে ৩০৭ মেট্রিক টন চাল ও ৩লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা। 

হাট বাজারের বিষয়ে কৃষিপণ্য হিসেবে তামাক ক্রয় বিক্রয় অব্যহত রয়েছে। এসব তামাক হাটে সমাগম ঘটে কয়েক হাজার মানুষের। সরকারিভাবে বলা হয়েছে কৃষিপণ্য হিসেবে তামাক ক্রয়বিক্রয় অব্যহত থাকবে। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাটের ইজাদার ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

ছুটি পেয়ে গ্রামে চলে আসা ঢাকা বা চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা ফেরত মানুষরাও মানছেন না হোম কোয়ারেন্টাইন কিংবা সামাজিক দূরত্ব। ফলে গ্রামের পরিবেশ অনেকটাই শ্বঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকরা দাবি করছেন, সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে ব্যর্থ হলে করোনা ভাইরাস সংক্রামনে ভয়াবহতা দেখা দিতে পারে। এখনো সময় আছে মানুষকে সচেতন করে স্বাস্থ্যবার্তা মানতে বাধ্য করতে হবে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা গেলে ঢাকা ফেরতরা তা মানছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যা সংক্রামিত করতে পারে। এজন্য সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা জরুরি বলে দাবি করেন তিনি।

প্রজন্মনিউজ২৪/নুর

এ সম্পর্কিত খবর

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ