বিশ্বব্যাপী হতে পারে ‘খাদ্য ঘাটতি’, জাতিসংঘের ৩ সংস্থার হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল, ২০২০ ০৭:০৪:২৬

বিশ্বব্যাপী হতে পারে ‘খাদ্য ঘাটতি’, জাতিসংঘের ৩ সংস্থার হুঁশিয়ারি

করোনা ভাইরাসে টালমাটাল বিশ্ব। সবাই যেন ঘরবন্দি। কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষগুলো। নেই উৎপাদন। এমন অবস্থা বিশ্বব্যাপী চরম খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমন বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘের ৩টি সংস্থা।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান কোয়েড ডংইউ, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন প্রধান টেড্রাস অ্যাধনাম ঘেরবাইয়াসিস এবং  ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এর পরিচালক রবার্তো আজেভেদো। এই তিন সংস্থা প্রধানরা বলেছেন, ‘চলমান করোনাভাইরাস সঙ্কট সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য ’’খাদ্য ঘাটতি’’ দেখা দিতে পারে।’

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে অনেক সরকার ভাইরাসের বিস্তার রোধে তাদের জনগণকে লকডাউনে ফেলেছে।  এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহের চেইনে মারাত্মক ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লোকেরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন। একারণে অনেক দেশে সুপারমার্কেটের তাকগুলি খালি হয়েছে। এটা সরবরাহ চেইনের ভঙ্গুরতা নির্দেশ করছে।

তিন সংস্থা প্রধানদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খাদ্য প্রাপ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে তা রফতানি নিষেধাজ্ঞা ডেকে আনতে পারে এবং এরফলে বিশ্ববাজারে খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।’
 
এটি একটি নিষ্ক্রিয় হুমকি নয়। ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কটের পরে, ধান উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও ভিয়েতনাম প্রত্যাশিত দাম বৃদ্ধিকে রুদ্ধ করতে তাদের রফতানি সীমিত করেছিল। এ রফলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল।
 
এই সতর্কবার্তাটি রাশিয়ার উদ্দেশ্য নির্দেশিত হতে পারে। কারণ সেখানে কর্মকর্তারা গম রফতানি নিয়ন্ত্রণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং দাম যাতে লাফিয়ে না বাড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যে দেশটির মজুদ সিল করে দিয়েছেন।
 
ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড -১৯ লকডাউনের মাঝে বাণিজ্য যাতে যথাসম্ভব অবাধে প্রবাহিত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই বিশেষ প্রচেষ্টা করতে হবে, বিশেষত খাদ্যের ঘাটতির কবল থেকে বাঁচার জন্য।’

আরও বলা হয়, ‘নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় কাজ করার সময়, দেশগুলিকে এটা নিশ্চিত করা উচিত যে বাণিজ্য সম্পর্কিত যে কোনও পদক্ষেপ এমনভাবে নিতে হবে যাতে খাদ্য সরবরাহ কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। দীর্ঘমেয়াদে, খাদ্য সরবারাহে নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে  কৃষি শ্রম না পাওয়া এবং বাজারে খাদ্যের প্রাচুর্যতায় সংকট তৈরি করতে পারে। কৃষি ও খাদ্য শিল্পের শ্রমিকদের চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা বিরুপ ফল বয়ে আনতে পারে।

প্রজন্মনিউজ২৪/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ