সমালোচনা নয়, সাহায্য করতে চেয়েছি: ফখরুল


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবিমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবিসরকারের সমালোচনা করছেন না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা সাহায্য করতে চেয়েছেন এবং একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার উত্তরার বাসায় কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনোই সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছি না, আমরা সরকারকে সাহায্য করতে চেয়েছি। আমরা বলেছি যে আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছি।’

জাতীয় কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একটা জাতীয় কমিটি তৈরি হয়নি, যেটা করা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। এই ধরনের সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে যদি একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা যায়, সেটাই হবে দেশের জন্য ভালো কাজ। আমরা মনে করি যে এখনো সময় আছে জাতীয় কমিটি করা দরকার, এটা গঠন করা উচিত।’

কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার পলিটিক্যাল পার্টি, সিভিল সোসাইটি, এগুলো নিয়ে একসঙ্গে বসে মিটিং করতে হবে, তা বলছি না। ঘোষণা করে আপনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এটা করতে পারেন। তখন সকলের মধ্যে একটা ধারণা আসবে—উই আর ওয়ান, আমরা এক।’

বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে খাবার পৌঁছানোর কাজ করছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়, তারা কয়েক দিন ধরে কোনো আয় করতে পারছে না এবং আর্থিক সংকটে পড়েছে। সেই সব মানুষের জন্য যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায়, তাহলে কিন্তু একটা বড় রকমের বিপর্যয় দেখা দেবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, যাঁরা তৃণমূল পর্যায়ে আছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি সম্পৃক্ত করা যায়, তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। সে জন্য বরাদ্দ থাকতে হবে, পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাসপাতালগুলোয় ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। আছে যে, একজন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের রোগী আটটা হাসপাতালে ঘুরে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে পারছে না। আমরা যে কারণে বারবার বলেছি, বিষয়টাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে এই জাতিকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।’

ফখরুল বলেন, এখন সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিরোধী দলকে কীভাবে কাজে লাগাবে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে কাজে লাগাবে, পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করবে।

ছুটি ঘোষণা করে তার দুদিন পর পর্যন্ত পরিবহন চালু রাখা সরকারের ভুল ছিল বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মানুষ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গণমাধ্যমে দেখেছেন, ৪০ হাজার বিদেশফেরত প্রবাসীর খোঁজ নেই। চীনের ঘটনার পর সরকার যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি নিলে সমস্যা প্রকট হতো না বলে জানায় বিএনপি।