যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে বেকার ৩৩ লাখ


করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বিশ্বজুড়ে চাকরি হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ১১৩ জন, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার এবং মারা গেছেন ১৭১ জন।

এর প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজারে। লাখো মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলা করতে ‘লকডাউন’ করায় চাকরি হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। দেশটির শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৩৩ লাখ মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে ১৯৮২ সালে এক সপ্তাহে ৬ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেছিল। এবার তার পাঁচগুণ বেশি মানুষ এ ভাতার জন্য আবেদন করেছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ হতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো নাজুক। বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্তিমিত। গাড়ি নির্মাতারা কাজ বন্ধ রেখেছেন, বিমান ভ্রমণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন জনগণের এক পঞ্চমাংশ এখন লকডাউন পরিস্থিতিতে আছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ছিল ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সামনের সময়ে দেশটির শ্রমবাজার আরও শক্তিশালী হবে এমনটাই আশা ছিল অর্থনীতিবিদদের।

তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশটির পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ওলট-পালট হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৩ লাখ মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশটিতে বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

প্রজন্মনিউজ/এসএম